নয়াদিল্লি: দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যপূরণে মহাকাশে রওনা দিল ভারতের GSAT-20 Communications Satellite. মধ্যরাতে আমেরিকার ফ্লোরিডা থেকে উৎক্ষেপণ হল ভারতের এযাবৎকালীন সবচেয়ে উন্নত কমিউনিকেশন্স স্যাটেলাইটের। ধনকুবের ইলন মাস্কের SpaceX-এর Falcon 9 রকেট ব্যবহার করে ভারতের কৃত্রিম উপগ্রহটির উৎক্ষেপণ হল। (GSAT-20 Launch)


ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO-র বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট GSAT-20. সেটির ওজন ৪ হাজার ৭০০ কেজি। GSAT-20 কৃত্রিম উপগ্রহে যে Ka-Band ফ্রিকোয়েন্সি স্পেকট্রাম পেলোড রয়েছে, তা অত্যন্ত দ্রুত গতিতে কাজ করে। মহাকাশে সেটি ১৪ বছর টিকে থাকবে। এই কৃত্রিম উপগ্রহ ভারতের জনসংযোহ পরিকাঠামোকে নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। (Science News)


ISRO জানিয়েছে, মহাকাশে ওই কৃত্রিম উপগ্রহটি কাজ শুরু করলে দেশের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতেও উচ্চমানের ইন্টারনেট পরিষেবা মিলবে। বিমানযাত্রার সময়ও ইন্টারনেট ব্যবহার করতে অসুবিধা থাকবে না কোনও সম্প্রতি বিমানযাত্রার সময় ইন্টারনেট ব্যবহার সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল হয়েছে। ফলে ভারতীয় আকাশসীমায় ইন্টারনেট ব্যবহারে আর অসুবিধায় পড়তে হবে না।



ISRO-র বাণিজ্যিক শাখা New Space India Limited-এর চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাধাকৃষ্ণণ দুরাইরাজ এই উৎক্ষেপণে তদারকির দায়িত্বে ছিলেন। GSAT-২০ একেবারে সঠিক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে বলে জানান তিনি। GSAT ২০ একটি বাণিজ্যিক কৃত্রিম উপগ্রহ। আমেরিকার প্রতিরক্ষা বাহিনীর যে Space Force রয়েছে, তাদের কাছ থেকে লঞ্চপ্যাডটি ভাড়া নেয় SpaceX. সেখান থেকেই উৎক্ষেপণ হল GSAT-20 কৃত্রিম উপগ্রহটির।



ISRO-র চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, আগামী ১৪ বছর মহাকাশে থাকবে GSAT-20. পৃথিবীতেও আমাদের পরিকাঠামো প্রস্তুত রয়েছে। এই প্রথম SpaceX-এর মাধ্যমে কোনও কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করল ISRO. তাদের Falcon 9-B৫ রকেট ভারতের কৃত্রিম উপগ্রহটির উৎক্ষেপণ করেছে। প্রথমে উৎক্ষেপণযান থেকে আকাশে ওড়ে, তার পর কক্ষপথে সঠিক জায়গায় পৌঁছে দেয়। Falcon 9 রকেটটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য। সেটি GSAT-20 কৃত্রিম উপগ্রহকে কক্ষপথে পৌঁছে দেওয়ার পর, ভারত থেকে কাজ শুরু করে দেয় ISRO. পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৩৬০০০ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থান করবে GSAT-20.