নয়াদিল্লি: উপকূলের আরও কাছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় 'দানা'। আপাতত তার গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যে সেটি ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে বলে জানা গিয়েছে। পুরী ও সাগরদবীপের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় 'দানা'। ওড়িশা অভিমুখে এগিয়ে চলা 'দানা'কে ক্যামেরাবন্দি করল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO-র কৃত্রিম উপগ্রহ। (Cyclone Dana Updates)
গত ২০ অক্টোবর থেকে ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র গতিবিধির উপর নজর রাখছে ISRO. ISRO-র EOS-06 এবং INSAT-3DR লাগাতার সেই নিয়ে তথ্যপ্রদান করে আসছে। তাদের ক্যামেরাতেই ধরা পড়েছে ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র বিধ্বংসী রূপ। ISRO-র নজরদারির ফলে ঘূর্ণিঝড় 'দানা'র গতিবিধি এবং শক্তি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে পাচ্ছেন আবহবিদরা। (ISRO Clicks Cyclone Dana)
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যে ওড়িশার উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় 'দানা'। ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্যে আছড়ে পড়ার কথা সেটির। সেখানে ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার হতে পারে। কলকাতা এবং ওড়িশা সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে। কলকাতায় বাতাসের গতিবেগ হতে পারে ৭০-৮০ কিলোমিটারের মধ্যে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫.৩০টা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই মুহূর্তে ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় 'দানা'। ল্য়ান্ডফলের সময় ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ১২০ কিলোমিটার। এই মুহূর্তে সাগরদ্বীপ থেকে ২৭০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় 'দানা'। পারাদ্বীপ থেকে 'দানা'র দূরত্ব ১৮০ কিমি, ধামারা থেকে ২১০ কিমি দূরে।
ঘূর্ণিঝড় নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফেও বিজ্ঞপ্তি জারি করে সকলকে সতর্ক করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় 'দানা'কে অতি শক্তিশালী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এর ফলে ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও উত্তর-পূর্বের অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরায় আগামী দু'দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বেল জানানো হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের দক্ষিণ অংশেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, কেরল, মাহে, তামিলনাড়ুতেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। বিহারেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।