শ্রীহরিকোটা : চাঁদের বাড়িতে ২০২৩ এই ঘুরে এসেছে ইসরোর চন্দ্রযান। সূর্যের ওপরও নজর রাখছে আদিত্য L1। এবার ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বরের রহস্য উন্মোচন করতে উদ্যোগী ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। নতুন বছরের প্রথম দিনেই মহাকাশে গুরুত্বপূর্ণ স্যাটেলাইট ( PSLV-C58 XPoSat Mission launch )পাঠাচ্ছে ইসরো। আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা। 


পয়লা জানুয়ারি সকালেই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেশ রিসার্চ সেন্টার থেকে মহাকাশে পাড়ি দেবে 'এক্সপোস্যাট' - X-Ray Polarimeter Satellite (XPoSat)। এটি হল দেশের প্রথম এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট। এর আগে ২০২১ সালে এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে নাসা। এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মহাকাশে এক্স-রে উৎস সন্ধান করা হবে। ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে গবেষণায় নতুন দিশা পেতে পারে ইসরো।


মহাকাশে কৃষ্ণগহ্বরের উপস্থিতি, সন্ধান ও উৎসের তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা করবে এক্সপোস্যাট। এর মাধ্যমে কোথায় কোথায় কৃষ্ণগহ্বর রয়েছে, তার সন্ধানও মিলতে পারে। মিলতে পারে নতুন ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বরের ঠিকানাও।  কৃষ্ণগহ্বরের উপস্থিতি, সন্ধান, উৎস প্রভৃতি সংক্রান্ত নানা তথ্য জোগাড় করবে এই স্যাটেলাইট। এছাড়া মহাকাশে ৫০টিরও বেশি উজ্জ্বলতম শক্তির উৎসকে পর্যবেক্ষণ করার কথা এক্সপোস্যাটের।   


 






চন্দ্রযান ৩ এর মতো কৃষ্ণগহ্বর অভিযানেও খরচ সীমিতই। XPoSat মহাকাশযানটি ২৫০ কোটি টাকা বা ৩০ মিলিয়ন খরচ পড়েছে। সেই নিরিখে NASA-র IXPE অভিযানে খরচ পড়েছিল ১৮৮ মিলিয়ন ডলার বা ১৮.৮ কোটি ডলার। NASA-র IXPE-র আয়ু ছিল দু'বছর। আগামী পাঁচ বছরেরও বেশি সময় মহাশূন্যে থাকবে ISRO-র XPoSat মহাকাশযানটি।