নয়াদিল্লি: বছর শেষ হওয়ার আগে ফের রাতের আকাশে বেনজির দৃশ্যের সাক্ষী থাকবেন পৃথিবীবাসী। ডিসেম্বর মাসে বছরের শেষ ‘সুপার মুন’ বা ‘কোল্ড মুনে’র সাক্ষী হতে চলেছেন সকলে। বছরের অন্য সময়ের তুলনায় আকারে বড় দেখাবে চাঁদকে, আরও বেশি উজ্জ্বল দেখাবে। উত্তর গোলার্ধে শীতের মরশুম বলে এবারের ‘সুপার মুন’কে ‘কোল্ড মুন’ও বলা হচ্ছে। আগামী ৫ ডিসেম্বর রাতের আকাশে দর্শন মিলবে। (Last Supermoon of 2025)

Continues below advertisement

বছরের শেষ ‘সুপার মুনে’র আবির্ভাব ঘটতে চলেছে রাতের আকাশে। উপবৃত্তাকার কক্ষপথ ধরে পৃথিবী থেকে দূরে অবস্থান করলে আকারে ছোটই দেখায় চাঁদকে। কিন্তু পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থানে চলে এলে আকারে অনেকটাই বড় দেখায়। রাতের আকাশে তুলনামূলক বড় আকারের চাঁদকে ওই সময় বলা হয় ‘সুপার মুন’। ভাল ভাবে এই ‘সুপার মুন’ দেখতে পাওয়া যাবে চন্দ্রোদয়ের পর পরই। পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থানে থাকার দরুণ ওই সময় পৃথিবীর জলভাগে জোয়ার আসবে। (Science News)

পূর্ণিমা বা অমাবস্যায় চাঁদ পৃথিবীর অনুসূর অবস্থানে থাকে। অর্থাৎ উপবৃত্তাকার কক্ষপথে এমন জায়গায় অবস্থান করে, যেখানে থেকে পৃথিবীর সঙ্গে দূরত্ব কমে হয় ৩ লক্ষ ৬৩০০০ কিলোমিটার। আবার অপসূর অবস্থানে থাকে যখন, পৃথিবীর থেকে ৪ লক্ষ ৫ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরত্ব হয়। 

Continues below advertisement

এর আগে নভেম্বর মাসে Beaver Moon-এর সাক্ষী হয় গোটা পৃথিবী। সবচেয়ে উজ্জ্বল ও সবচেয়ে বড় আকারে সেই সময় রাতের আকাশে ধরা দেয় চাঁদ। ডিসেম্বর মাসের ‘সুপার মুন’ বছরের দ্বিতীয় উজ্জ্বলতম ও দ্বিতীয় বৃহত্তম হতে চলেছে। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA জানিয়েছে, বছরে যে সময় চাঁদকে সবচেয়ে ক্ষীণ দেখায়, তার চেয়ে ডিসেম্বরের ‘সুপার মুনে’র ব্যাস ১৪ শতাংশ বেশি থাকবে। ঔজ্জ্বল্য বাড়বে ৩০ শতাংশ। ডিসেম্বরের এই ‘সুপার মুন’কে ‘লং নাইটস মুন’ও বলা হয়। কারণ শীতকালে রাতের দৈর্ঘ্য রাতের তুলনায় বেশি হয়। 

এর আগে, গত ৭ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর আকাশে রক্তবর্ণের 'Blood Moon' দেখা যায়। আবার ওই একই সময় পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ ঘটে। একটু একটু করে পৃথিবীর ছায়া পড়তে শুরু করে উপগ্রহের উপর। রাত ১১টা বেজে ১ মিনিটে পৃথিবীর ছায়ায় পুরোপুরি ঢেকে যায় চাঁদ। একই সঙ্গে রক্তবর্ণ আকার ধারণ করে চাঁদ। পূর্ব গোলার্ধের দেশগুলি থেকে দেখা যায় চাঁদের ওই রূপ। কলকাতার আকাশেও দৃশ্যমান হয় পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ ও রক্তাভ চাঁদ।