কলকাতা: চাঁদের (Moon) সঙ্গে যোগাযোগ নিয়ে একাধিক কাজ চললেও প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে পৃথিবীর (Earth) পড়শি গ্রহে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে নাসা। এখনও মঙ্গল (Mars) গ্রহে অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ জারি রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই স্পেস এজেন্সি। শুধু নাসা (Nasa) নয়, চিন তার তিয়ানওয়েন মহাকাশযানের মাধ্যমে লালগ্রহে নজরদারি করে চলেছে। কিন্তু সেই যোগাযোগে এবার থামতে চলেছে। 


পৃথিবী বাদে আর কোন কোন গ্রহে আবাসস্থল ও প্রাণ তৈরি করা যায় সেই অন্বেষণে রয়েছে মহাকাশসংস্থাগুলি। এর মধ্যে মঙ্গলেই সবচেয়ে বেশি কাজ চলছে। লালগ্রহের মাটি থেকে জলের অস্তিত্ব ও খুঁটিনাটি নিয়ে কাজ করে চলেছে একাধিক মার্স রোভার। তবে এবার সেই সংযোগে বিচ্ছেদ আসতে চলেছে। সৌর ঝড়ের জেরে একটি ব্ল্যাকআউট ঘটতে চলেছে মঙ্গল গ্রহে। 


জানা গিয়েছে, এই ঘটনার জন্য প্রায় দুই সপ্তাহের জন্য মঙ্গলের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ থাকবে। নাসার তরফে জানান হয়েছে, ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত লাল গ্রহের সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন থাকবে। এই সময়ে, মহাকাশযান থেকে রেডিও ট্রান্সমিশনে কিছুটা প্রভাবও পড়বে। সৌর ঝড়ের জেরে একাধিক মহাকাশযানের সঙ্গে  যোগাযোগও বিছিন্ন হবে।                                                                                   


আরও পড়ুন, পৃথিবীতে প্রাণের বিলুপ্তি হতে পারে এই মহাজাগতিক বিস্ফোরণে, সতর্কবার্তা মার্কিন বিজ্ঞানীদের


নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির মিশন কন্ট্রোলাররা এই সময়কালে নেভিগেট করার জন্য বিভিন্ন কৌশল তৈরি করেছে। যাতে কিছু ইন্সট্রুমেন্ট বন্ধ করা হলেও, অন্যদের থেকে ডেটা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে, তারা পৃথিবীতে ডেটা পাঠাতে থাকে, সম্পূর্ণরূপে সচেতন ভাবে ডেটা সংগ্রহের কাজ করে যেতে পারে।                                                      


সৌর ঝড় চলাকালীন কোনও নতুন নির্দেশ পাঠানো হয় না। তবে প্রাথমিকভাবে এটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে হতে পারে। তবে যেহেতু অটোপাইলট প্রযুক্তি রয়েছে যানগুলিতে। ফলে, এই সময় তারা পূর্ব নির্দেশমতোই কাজ করবে।