নয়া দিল্লি: পৃথিবীতে গ্রহাণু আছড়ে পড়লে কী হতে পারে, তার প্রমাণ মিলেছিল ডাইনোসর যুগে। এবার যদি তেমনটাই হয়, তবে নিশ্চিহ্ন হবে মানুষ এবং সকল প্রাণীকূল, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি নাসার জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরির তরফে জানান হয়েছে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে একটি গ্রহাণু। তবে শুধু একটি নয়, পাঁচটি গ্রহাণু ছুটে আসছে পৃথিবীর দিকে এমনটাই খবর।                      


নাসার গ্রহাণু ড্যাশবোর্ডে এমনই দৃশ্য ধরা পড়েছে।                                                                        


এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে ৬ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার। এর নাম দেওয়া হয়েছে ২০২৩ এফজেড৩। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই বিশাল গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে ঘণ্টায় ৬৭ হাজার ৬৫৬ কিলোমিটার বেগে। ৬ তারিখ পৃথিবীর সঙ্গে এই গ্রহাণুর সবচেয়ে কম দূরত্ব হওয়ার কথা ৪১ লক্ষ ৯০ হাজার কিলোমিটার। গ্রহাণুটির গতিবিধির দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে নাসা।


তবে বাকি গ্রহাণুগুলি আকারে ছোট, সেগুলি কোনো সমস্যার সৃষ্টি করতে পারবে না বলে মত মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। প্রথম গ্রহাণুটি ৪৫ ফুটের। এটি সোমবারই পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে। এই গ্রহাণুর নাম দেওয়া হয়েছে ২০২৩ এফইউ৬। দ্বিতীয় গ্রহাণুটি ৮২ ফুটের। সেটিও সোমবারই পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে গেছে। দ্বিতীয় গ্রহাণুটির নাম দেওয়া হয়েছে ২০২৩ এফএস১১। তৃতীয় গ্রহাণু ২০২৩ এফএ৭-এর আয়তন ৯২ ফুট। এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসবে মঙ্গলবার। চতুর্থ গ্রহাণুটি পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে বুধবার। এই গ্রহাণুটি আকারে একটি আস্ত বাড়ির সমান, আয়তন প্রায় ৬৫ ফুট।


আরও পড়ুন, সূর্য থেকে ধেয়ে আসছে শক্তিশালী অগ্নিশিখা, এশিয়ার একাধিক দেশে ব্ল্যাকআউটের সম্ভাবনা


গ্রহাণুরা প্রায়ই আসে, পৃথিবীর কাছ ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। কিছুদিন আগেই একটা বড় ট্রাকের মতো আকারের গ্রহাণু আচমকা অন্ধকার থেকে উদয় হয়ে পৃথিবীর একেবারে কাছাকাছি চলে এসেছিল। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, যে গ্রহাণুটি পৃথিবীর একদম কাছে চলে এসেছে তার নাম asteroid (199145) 2005 YY128। গ্রহাণুটির ব্যাস ৫৮০ থেকে ১৩০০ মিটারের মধ্যে। গড় ব্যাস প্রায় সাড়ে ন’শো মিটার, আয়তনে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের থেকে বড়।