নয়া দিল্লি: শুধুমাত্র সৌরঝড়েই সীমাবদ্ধ নেই, এবার সূর্য থেকে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌরশিখাও। সূর্যের আয়ন অবস্থার জন্য সেখানে বিস্ফোরণ লেগেই থাকে। তবে এবার একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের জেরে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলেও তার প্রভাব পড়তে চলেছে। আয়নের প্রভাব পড়বে বিশ্বের একাধিক এলাকাতে। যার জেরে রেডিও ব্ল্যাকআউটও হতে পারে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে একটি শক্তিশালী শর্টওয়েভ রেডিও ব্ল্যাকআউটের সম্ভাবনা রয়েছে। অগ্ন্যুৎপাতটি নাসার সোলার ডায়নামিক্স অবজারভেটরি লক্ষ্য করেছে। দেখা গিয়েছে একটি ভয়ঙ্কর অগ্নিশিখা মহাকাশের দিকে ধেয়ে এসেছে।
নাসার তরফে জানান হয়েছে, সৌর শিখাগুলি সূর্যেরই শক্তিশালী বিস্ফোরণ। বৈদ্যুতিক পাওয়ার গ্রিড, নেভিগেশন সংকেত, বেতার বার্তায় এর প্রভাব পড়বে। শুধু তাই নয়, এর জেরে মহাকাশযান এবং মহাকাশচারীরাও ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালে মাত্র তিন মাসে এটি ছিল সূর্য থেকে সপ্তম বিস্ফোরণ।
আরও পড়ুন, পৃথিবীর দিকে ঘুরল বিরাটাকার কৃষ্ণগহ্বর, বিকিরণের মারাত্মক প্রভাব নিয়ে চিন্তিত বিজ্ঞানীরা
Spaceweather.com এর তরফে জানান হয়েছে, একটি ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে। যা তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। সূর্যের দক্ষিণ গোলার্ধের একটি বড় করোনাল গর্ত থেকে একটি বিশাল বিস্ফোরণের ফলে শুরু হয়েছে এই ঝড়টি।
এদিকে, এবার ব্ল্যাকহোল উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে বিজ্ঞানীদের। জানান হয়েছে, মহাকাশের একটি বিরাটাকার ব্ল্যাকহোল, যার নাম PBC J2333.9-2343, সেটি হঠাৎই পৃথিবীর দিকে ঘুরে গিয়েছে। রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিকাল সোসাইটির বিজ্ঞানী ডঃ লরেনা হার্নান্ডেজ গার্সিয়া বলেন, 'আমি এই গ্যালাক্সিটি নিয়ে আলাদা করে গবেষণা শুরু করেছিলাম কারণ এটি আচমকাই অদ্ভূত ব্যবহার করতে শুরু করেছিল। তখনই আমাদের নজরে আসে যে এখানে অবস্থিত ব্ল্যাকহোলটির মুখটি অন্যদিকে ঘুরে গিয়েছে। অনেক অবজারভেশন চলছে বর্তমানে।'
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এটি আদতে একটি রেডিও গ্যালাক্সি। মহাকাশের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এটিও নিজের পথ ৯০ ডিগ্রি পরিবর্তন করে বর্তমানে পৃথিবীর দিকেই মুখ করে রয়েছে। অর্থাৎ গ্যালাক্সিটি এবার 'ব্ল্যাজার' এ পরিণত হয়েছে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ব্ল্যাজারগুলি অত্যন্ত উচ্চ-শক্তিসম্পন্ন হয়ে থাকে। মহাবিশ্বে এই ধরনের ঘটনা বিরল তো বটেই, অত্যন্ত ক্ষমতাসম্পন্নও। পৃথিবী থেকে প্রায় ৬৫৭ মিলিয়ন আলোকবর্ষে দূরে রয়েছে এই কৃষ্ণগহ্বর।