নয়াদিল্লি: ঘণ্টার পর ঘণ্টা আকাশ দেখে কাটিয়ে দিতে পারেন কেউ কেউ। মহাশূন্যের প্রতি অমোঘ আকর্ষণ রয়েছে যাঁদের, তারা দেখা তাঁদের কাছে রীতিমতো নেশা। তাই মহাশূন্যের অচেনা দুনিয়ার একটি ঝলক দেখতে উদগ্রীব হয়ে থাকেন তাঁরা। এহেন অনুরাগীদের চাহিদা মেটানোর যথাসাধ্য চেষ্টাও করে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA. মহাশূন্য নয়া আবিষ্কৃত গ্রহ-নক্ষত্র-উপগ্রহ থেকে ছায়াপথ, নীহারিকার ছবি প্রায়শই প্রকাশ করে তারা। কিন্তু এবার মহাকাশ থেকে পৃথিবীর ছবি তুলে সকলকে চমকে দিল NASA. (NASA News)


পৃথিবীর উপরিস্থল, সাগর-মহাসাগর, সবুজ দুনিয়ার ছবি আগেও সামনে এনেছে NASA. কিন্তু এবার যে ছবি প্রকাশ করেছে তারা, তা সবদিক থেকেই অনন্য। আকাশ ভেদ করে ভারতের বুকে নেমে আসা বজ্রপাতের মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করল NASA. সংস্থার জ্যোতির্বিজ্ঞানী ম্যাথু ডমিনিক ওই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে, যা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে মুহূর্তে। (NASA Picture of the Day)


এই মুহূর্তে আন্তর্জাতি স্পেস স্টেশনে রয়েছেন ম্যাথু। সেখান থেকেই ছবিটি তোলা হয়। মাইক্রোব্লগিং সাইট X-এ (সাবেক ট্যুইটার) ম্যাথুর হ্যান্ডলে ওই ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে। পোস্টে লেখা হয়েছে, 'ভারতে রাতের আকাশে বজ্রপাত। বজ্রপাতের ছবি তুলতে গিয়ে বার্স্ট মোড চালু করেছিলাম আমি, যাতে সেটিকে ক্যামেরাবন্দি করতে পারি। ফ্রেমের একেবারে মাঝামাঝি অবস্থানে বন্দি হয়ে যায় বজ্রপাতের মুহূর্তটি। আলাদা করে আর কাটতে হয়নি'।



ম্যাথু যে ছবিটি পোস্ট করেছেন, তাতে নিকষ কালো অন্ধকারের বুক চিরে উজ্জ্বল নীল আলোর উদ্ভাসিত রূপ চোখ পড়েছে। মধ্যিখানের উজ্জ্বল সাদা আলোকছটাকে ঘিরে রেখেছে নীলাভ আলোর তরঙ্গ। ম্যাথু জানিয়েছেন, বজ্রপাতের ওই মুহূর্তটি আসলে জলভাগের উপরে থাকা অবস্থায় ক্যামেরাবন্দি করা হয়। নৌকা এবং স্টিমারের আলো সরলরেখা হিসেবে ধরা পড়েছে ফ্রেমে। ফ্রেমের বাঁ দিকে রাতের শহরের কিছু অংশও ধরা পড়েছে, যা খানিকটা আবছা।


ওই ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। ১৭ অগাস্ট সকালে ছবিটি পোস্ট করেন ম্যাথু। ১৮ অগাস্ট রাত ১০টা পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ মানুষ সেটিতে 'লাইক' ঠুকেছেন। ছবিটি অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছেন অনেকেই। এমন ছবি আগে কখনও দেখেননি বলে লিখেছেব কেউ কেউ। ওই অভাবনীয় দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করার জন্য ম্যাথুকে ধন্যবাদও জানান অনেকেই।