কলকাতা: ব্রহ্মাণ্ড শব্দহীন, কারণ সেখানে আলোর গতিতে চলেছে শব্দতরঙ্গ। ফলে সাধারণের কানে সেই শব্দ ধরা দেয় না। যদিও বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন মহাবিশ্বের শব্দতরঙ্গের কথা বলেছিলেন। হাতেনাতে প্রমাণ না মিললেও যেটুকু 'শব্দ'-এর হদিশ পাওয়া গিয়েছে তা দিয়ে এবার তৈরি হল গান।
আমেরিকান স্পেস এজেন্সি নাসা মহাকাশের শব্দের একটি প্লেযোগ্য সংস্করণ প্রকাশ করেছে। মিউজিক কম্পোজার সোফি কাস্টনারের সহায়তায় প্রকল্পটি সম্পন্ন হয়েছে, নিজেদের ওয়েবসাইটে এমনতাই জানিয়েছে নাসা। সেখানে বলা হয়েছে, এটি মিসেস কাস্টনারের সাহায্যে তৈরি করা মিউজিক। সেখানে সেই মিউজিকের একটি নোটেশনও পোস্ট করা হয়েছে।
টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া তথ্যকে সোনিফিকেশন নামক একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নোট এবং শব্দে রূপান্তরিত করা হয়েছে বলেই জানান হয়েছে। NASA-এর কাছে বছরের পর বছর ধরে এই ধরনের শব্দের একটি ভান্ডার রয়েছে, যা একটি সোনিফিকেশন প্লেলিস্ট হিসাবে তার ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়েছে। উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, চিন, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার রেডিয়ো টেলিস্কোপের সাহায্যে প্রমাণ মিলেছে।
মহাজাগতিক ঘটনার জেরে দীর্ঘ কম্পাঙ্কের তরঙ্গ তৈরি হয়। কিন্তু দশকের পর দশক ধরে বিজ্ঞানীরা ক্ষুদ্র কম্পাঙ্কের মাধ্যাকর্ষণ স্রোত খুঁজছিলেন। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করতেন, এমন স্রোত একনাগাড়ে ঘুরপাক খাচ্ছে ব্রহ্মাণ্ড জুড়ে। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত রেডিয়ো টেলিস্কোপগুলি মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সির মোট ১১৫টি পালসারে শব্দ ধরার চেষ্টা চালিয়ে যায়।