ওয়াশিংটন ডিসি : একটা-দু'টো নয়, দশটি বাসের চেয়েও বড় একটি বিশাল মহাকাশ শিলা পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। NASA বলছে, বিজ্ঞানসম্মতভাবে 2013 WV44 নামে পরিচিত গ্রহাণুটি বুধবার সকাল ৯টায় বিএসটি অতিক্রম করে যাবে। এই শিলাটি ৫২৪ ফুট (১৬০ মিটার) ব্যাসবিশিষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে। যা লন্ডন আই (৩৯৪ ফুট) এবং বিগ বেন (৩১০ ফুট)- এর থেকে বড়। এটি প্রতি সেকেন্ডে ১১.৮ কিলোমিটার বা ঘণ্টায় ২৬ হাজার মাইলের বেশি গতিতে ভ্রমণ করবে, যা শব্দের গতির প্রায় ৩৪ গুণ। যদিও পৃথিবীর দিকে ছুট আসছে, তবে এটি কখনই ০.০২৩৩৪ জ্যোতির্বিদ্যা ইউনিট বা প্রায় ২.১ মিলিয়ন মাইলের বেশি কাছাকাছি আসবে না।


চাঁদের চেয়ে প্রায় নয় গুণ বেশি দূরে রয়েছে গ্রহাণুটি। তা সত্ত্বেও, এটিকে পৃথিবীর কাছাকাছি বস্তু (NEO) হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। NASA এটিকে ট্র্যাক করছে। NASA বলছে, NEO বা পৃথিবীর কাছাকাছি বস্তুগুলি হল ধূমকেতু এবং গ্রহাণু, যা নিকটবর্তী গ্রহগুলির মহাকর্ষীয় আকর্ষণ দ্বারা কক্ষপথে চলে যায়। যা তাদের পৃথিবীর আশপাশে প্রবেশ করতে দেয়। বেশিরভাগ ধূলিকণার সঙ্গে জল বরফের সমন্বয়ে গঠিত, ধূমকেতু মূলত বাইরেটা ঠান্ডা এমন অবস্থায় গঠিত হয়। অন্যদিকে, মঙ্গল এবং বৃহস্পতির কক্ষপথের মধ্যে উষ্ণ অভ্যন্তরীণ সৌরজগতে বেশিরভাগ পাথুরে গ্রহাণু গঠিত হয়।


NASA আরও বলছে, সৌরজগতের গঠন প্রক্রিয়ায় তুলনামূলকভাবে অপরিবর্তিত অবশিষ্ট ধ্বংসাবশেষ হওয়ায় ধূমকেতু এবং গ্রহাণুর প্রতি বৈজ্ঞানিক আগ্রহ রয়েছে বহু আগে থেকে। প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন বছর আগে থেকে। 


প্রসঙ্গত, পৃথিবীর কাছাকাছি বস্তু হিসাবে তাকেই গণ্য করা হয় যখন এটি সূর্যের ১.৩ জ্যোতির্বিদ্যা ইউনিট (AU) (১২০.৮ মিলিয়ন মাইল) এর মধ্যে আসে এবং পৃথিবীর কক্ষপথের ০.৩ AU (২৭.৮ মিলিয়ন মাইল) এর মধ্যে আসে। যদিও 2013 WV44 ২.১ মিলিয়ন মাইল দূরত্বে থাকবে, এটি জ্যোতির্বিজ্ঞানের দিক থেকে তুলনামূলকভাবে কাছাকাছি।


কোনও গ্রহাণু যদি পৃথিবীর ০.০৫ জ্যোতির্বিদ্যা ইউনিটের মধ্যে চলে আসে এবং ৪৫৯ ফুট বা ১৪০ মিটার ব্যাসের বেশি হয়, তাহলে সেটাকে সম্ভাব্য বিপজ্জনক বিষয় হিসাবে ভাবা হয়। সৌভাগ্যক্রমে, 2013 WV44 এই বৈশিষ্ট্যগুলি পূরণ করে না, তাই এটিকে সম্ভাব্য বিপজ্জনক হিসাবে বিবেচনা করা হয় না। তবে এখনও আমাদের কক্ষপথের মধ্যে আসতে পারে৷


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial