কলকাতা: একটি সরু তীক্ষ্ণ বর্শার মতো অজ্ঞাত বস্তু। চাঁদের উপর দিয়ে যেতে যেতে হঠাৎই ধরা পড়ে নাসার ক্যামেরায়। এটি কী জিনিস তা প্রথমে বুঝতে পারেননি কেউই। ফলে হইচই শুরু হয় বিজ্ঞানী মহলে। অবশেষে সেই রহস্য উদঘাটন হল। নাসার তরফে জানানো হল ওই অজ্ঞাত বস্তুটি আদতে কী জিনিস। নাসার লুনার রিকোনোসা অরবিটার চাঁদের চারপাশে পাক খাচ্ছে বর্তমানে। তার ন্যারো অ্যাঙ্গল ক্যামেরাতেই দেখা যায় চাঁদের গায়ে এই তীক্ষ্ণ বর্শার মতো বস্তুটি। 


নাসার ক্যামেরায় পড়ল ধরা


নাসার লুনার রিকোনোসা অরবিটার তার নিয়ম মেনেই পাক খাচ্ছিল চাঁদের চারপাশে। এলআরও-এর ক্যামেরায় (লুনার রিকোনোসা অরবিটার) ৫ ও ৬ মার্চের মাঝামাঝি সময় ধরা পড়ে এই বস্তটি।  গত এক মাস ধরে এই বস্তুটি নিয়ে জল্পনার অন্ত ছিল না। অবশেষে বস্তুটির গোত্র পরিচয় খোলসা করে জানাল নাসা। 


২০২২ সালের ঘটনা


২০২২ সালের একটি ঘটনার কারণেই ওই অজ্ঞাত বস্তুটি দেখা গিয়েছে বলে জানায় নাসা। ২০২২ সালে কোরিয়া অ্যারোস্পেস রিসার্চ ইনস্টিটিউট একটি লুনার অরবিটার তৈরি করে। ৪ অগাস্ট কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস স্টেশন থেকে সেটির উৎক্ষেপণ হয়। দানুরি নাম দেওয়া হয়েছিল ওই লুনার অরবিটারটির‌। কোরিয়ার তৈরি সেটিই প্রথম অরবিটার যার নাম ছিল কোরিয়ান পাথফাইন্ডার লুনার অরবিটার। এর কাজ ছিল কোরিয়ার মহাকাশযানের উপর নজরদারি করা। এক বছর ধরে সেই কাজ করার কথা লুনার অরবিটারের। ৫ ও ৬ মার্চের মাঝামাঝি সেকেন্ডেরও ভগ্নাংশ সময়ের জন্য কেপিএলও-কে দেখা যায়‌। 


আকারে কেন এত বড় ? 


নাসার লুনার অরবিটারের ক্যামেরা অনেকটাই বড় দেখা যায় কোরিয়ার অরবিটারকে। কিন্তু এত বড় আকারের অরবিটার দেখা গেল কী করে ? এর ব্যাখ্যাও দিয়েছে নাসা। আদতে বেগের কারণেই এমনটা হয়েছে। নাসার অরবিটার কোরিয়ার অরবিটারের বিপরীত দিকে ঘুরছে। এই অবস্থায় নাসার অরবিটার নিরিখে কোরিয়ার অরবিটারের বেগ অনেকটাই বেশি মনে হবে। যাকে পদার্থ বিজ্ঞানে আপেক্ষিক বেগ বলা হয়। এই বেগের কারণে বস্তুটির আপেক্ষিক অবস্থানও অনেকটা এলাকা জুড়ে দেখা গিয়েছে ক্যামেরায়। যা দেখে তাকে অনেকটা বড় বলে মনে হয়েছে। কেপিএলও-র নির্দিষ্ট আকারের চেয়ে ১০ গুণ বেশি বড় ছিল ওই ছবির বস্তুটি‌।


আরও পড়ুন - Science News: সমুদ্রগর্ভে জমছে লাখ লাখ টন প্লাস্টিক, কোন বিপদের আশঙ্কা ?