কলকাতা: ১১ মিলিয়ন টন অর্থাৎ ১.১ কোটি টন। ঠিক এত পরিমাণ প্লাস্টিকই জমে রয়েছে সমুদ্রের গহ্বরে। এবং কিছু দিন পর এটি আরও বেড়ে নয়া রেকর্ড গড়বে বলেই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ প্রতি মিনিটেই এক ট্রাক ভর্তি প্লাস্টিক এসে জমা হচ্ছে সমুদ্রের পেটে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল সায়েন্স এজেন্সি সিএসআইআরও ও টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে একটি গবেষণা করে। তাতে দেখা যায়, প্লাস্টিকেই দূষিত হয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর সমুদ্র-সম্পদ।


সমুদ্র সম্পদের ক্ষতিতে কেমন ক্ষতি ?


সমুদ্রের জল এমনতি নুন তৈরি ছাড়া কাজে লাগে না বলে মনে হতেই পারে। কিন্তু এই জলের নিচেই পৃথিবীর এক বিশাল প্রাণীজগত। সমুদ্রের জল না থাকলে এই লক্ষ কোটি প্রাণীদের জগত স্রেফ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এর প্রভাব পড়তে পারে স্থলজগতেও। কারণ বিশাল প্রাণীজগতের বাস্তুতন্ত্রই নষ্ট হয়ে যাবে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এছাড়াও, পৃথিবীর উষ্ণতা বেড়ে যাওয়া, সমুদ্রের জলতল বেড়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। 


১৬ বছর পর দ্বিগুণ হবে প্লাস্টিক


ষোলো বছর পর পৃথিবীর পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষকদের কথায়, ১৬ বছর পর অর্থাৎ ২০৪০ সাল নাগাদ আরও বাড়বে প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ। স্বাভাবিকভাবেই তখন সমুদ্রের তলদেশে আরও জমা হবে বর্জ্য। যা জলজগতের প্রাণীদের চ্য়ালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে বলেই আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। প্রসঙ্গত, এটিই সমুদ্রের তলদেশে জমা মোট প্লাস্টিকের পরিমাণের প্রথম আনুমানিক হিসেব। সমুদ্রের তলদেশে গিয়ে প্লাস্টিক ছোট ছোট টুকরোয় বিভক্ত হয়ে যায়। যা আর পুনর্ব্যবহার যোগ্য় থাকে না।


কী বলছেন গবেষক ?


সিএসআইআরও-এর প্রবীণ গবেষক ডেনাইস হার্ডেস্টি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা এটা জানি, রোজ অনেক প্লাস্টিক সমুদ্রের গর্ভে চলে যাচ্ছে, কিন্তু ঠিক কত পরিমাণ প্লাস্টিক যাচ্ছে, তা কেউ জানি না। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ৩ থেকে ১১ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক সমুদ্রের পেটে ঢুকে যাচ্ছে। এর আগের গবেষণা মাইক্রোপ্লাস্টিক নিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান গবেষণায় সব ধরনের প্লাস্টিককেই ধরা হয়েছে। ফলে বিপদের আশঙ্কা আরও বেশি বলেই জানাচ্ছেন গবেষকরা।


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন - Heatwave Alert: তাপপ্রবাহ নিয়ে চাষি, শ্রমিকদের সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা, কী বললেন ?