নয়াদিল্লি: সৌরজগতের সবচেয়ে দূরের বাসিন্দা। দেখা-সাক্ষাৎ হয় না সেভাবে। কিন্তু মহাজাগতিক সেই নিয়মের হেরফের ঘটল এবার। পৃথিবীর আকাশে উদয় ঘটল সৌরজগতের অষ্টম গ্রহ নেপচুনের। ২০-২১ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর একেবারে বিপরীত অবস্থানে পৌঁছয় নেপচুন। ফলে রাতের আকাশে তার দর্শন মিলল এবার। (Neptune Visibility)
বিজ্ঞানীরা আগেই জানিয়েছিলেন যে, সবুজ ও নীল রংয়ে রঞ্জিত নেপচুনকে পরিষ্কার দেখা যাবে রাতের আকাশে। ভারতীয়রাও চাইলে এই বিরল মুহূর্তের সাক্ষী হতে পারেন। এমনিতে খালি চোখে নেপচুনকে দেখা যায় না। টেলিস্কোপে চোখ রেখে তার দর্শন মিলতে পারে বলে জানান বিজ্ঞানীরা। ফলে উৎসাহ তৈরি হয় মহাকাশপ্রেমীদের মনে। (Science News)
সচরাচর এই বিরল মহাজাগতিক মুহূর্তের আবির্ভাব ঘটে না। তবে পৃথিবী যখন নেপচুন এবং সূর্যের ঠিক মাঝখানে অবস্থান করে, সেই সময় নেপচুন একেবারে বিপরীত অবস্থানে থাকে। এর ফলে বরফের গোলকটি উজ্জ্বল রূপে ধরা দেয় পৃথিবীর আকাশে। এই সময় পৃথিবী থেকে নেপচুনের দূরত্বও সবচেয়ে কম হয়। বছরে একবার মাত্রই এমন ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, রাতের আকাশে নেপচুনের ঔজ্জ্বল্যের মাত্রা ছিল +7.8, যা সর্বোচ্চ। কিন্তু নেপচুন যেহেতু নিষ্প্রভ, তাই বহুদূরের নক্ষত্রারাও তার চেয়ে বেশই উজ্জ্বল হয়ে আমাদের চোখে ধরা দেয়। তবে টেলিস্কোপে চোখ রেখে নেপচুনকে দেখা সম্ভব হয়। ভারতের দিল্লি থেকে সবচেয়ে ভাল ভাবে নেপচুনকে দেখা যায়। সূর্যাস্তের পর পূর্ব দিকে উদয় ঘটে।
সবুজ ও নীল রঞ্জিত নেপচুনের এমন রংয়ের নেপথ্যে রয়েছে তার উপাদান। নেপচুনের বায়ুমণ্ডলে মিথেন রয়েছে, যা লাল আলো শুষে নেয়। কুইপার বেল্টের একেবারে কিনারায় অবস্থান নেপচুনের, যেখানে বরফের কুচি, বামনগ্রহ প্লুটো এবং এরিজ রয়েছ। সেখানকার বায়ুমণ্ডল মূলত হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম দ্বারা গঠিত। নেপচুন পাথুরে গ্রহ। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আবারও পৃথিবী থেকে দেখা যাবে নেপচুনকে। সেই সময় পৃথিবী থেকে তার দূরত্ব হবে ২৮.৯ অ্যাস্ট্রনমিক্যাল মাইল।