নয়াদিল্লি: বড়দিনে বড় কীর্তি ঘটানোর পরও দিব্যি বেঁচেবর্তে রয়েছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA-র সৌরযান Parker Solar Probe. শুধুমাত্র প্রাণহায়ুই চলছে না, আগের মতোই মহাকাশে সেটি কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানাল NASA. ফলে NASA-র সাফল্যের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হল। সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছনো এবং তার পরও অক্ষত থেকে ইতিহাস গড়ল মনুষ্য নির্মিত সৌরযান Parker Solar Prob. (Parker Solar Probe)


বড়দিনের প্রাক্কালে গত ২৪ ডিসেম্বর, সূর্যের ভূমি থেকে ৩৮ লক্ষ মাইল দূরত্বে অবস্থান ছিল সৌরযানটির। লেলিহান সৌরশিখা স্পর্শ করে তাকে। আমেরিকার স্থানীয় সময় অনুযায়ী, ২৪ ডিসেম্বর সকাল ৬টা বেজে ৫৩ মিনিটে সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি ছিল Parker Solar Probe. তাপমাত্রা ছিল ৯৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ইতিহাস সৃষ্টি করলেও, সৌরযানটি সেই স্পর্শ সহ্য করতে পারবে কি না, ধন্দ ছিল। (NASA Sun Mission)


তবে শুক্রবার সুখবর দিয়েছে NASA. তারা জানিয়েছে, "সমস্ত রেকর্ড ভেঙে সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছয় NASA-র Parker Solar Probe. মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে সঙ্কেত পাঠিয়েছে সৌরযানটি। তার স্বাস্থ্য ঠিক আছে, আগের মতোই কাজকর্ম স্বাভাবিক রয়েছে।" আরও বিশদ তথ্য মিলবে ১ জানুয়ারি। সূর্যের গা ঘেঁষে ঘণ্টায় ৪ লক্ষ ৩০ হাজার কিলোমিটার বেগে ছুটেযায় সৌরযানটি, তা-ও একটি রেকর্ড। মনুষ্য নির্মিত কোনও যান এত গতিতে আগে ছোটেনি।



পদার্থবিদ ইউজিন পার্কারের নামে নামকরণ Parker Solar Prob সৌরযানের। ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে সাত বছরের জন্য মহাকাশে অভিযানে পাঠানো হয় Solar Parker Probe-কে। সৃষ্টির রহস্য বোঝার জন্যই মূলত এই অভিযান। পাশাপাশি, আগামীতে পৃথিবীকে ধ্বংস করে দেওয়ার মতো কী কী ঝুঁকি রয়েছে, তাও খতিয়ে দেখছে সৌরযানটি। 


তবে এই প্রথম বা শেষ নয়। আরও দু'বার সূর্যের কাছাকাছি পৌঁছনোর কথা Parker Solar Probe সৌরযানের। যথেষ্ট জ্বালানি রয়েছে তাতে। ২০২৫ সালে ফের সূর্যের কাছাকাছি পৌঁছবে। এই অভিযান থেকে প্রাপ্ত তথ্য সূর্যের আলোকমণ্ডলকে বুঝতে সাহায্য করবে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপর যা প্রভাব রয়েছে। পৃথিবীতে লকহিড মার্টিনের যে যুদ্ধবিমান ছোটে, তার চেয়ে এই সৌরযানের গতি ৩০০ গুণ বেশি।