নয়াদিল্লি: ইতিউতি আকাশে উড়ন্ত চাকতির মতো যান দেখতে পাওয়ার বহু দাবিদাওয়া রয়েছে। ওই উড়ন্ত বস্তুসমূহ ভিনগ্রহী যান হতে পারে, ভিনগ্রহীরা তাতে চেপে পৃথিবীতে উঁকিঝুঁকি দেয় বলেও রয়েছে দাবি। সেই নিয়ে এবার বিশদ রিপোর্ট প্রকাশ করল আমেরিকার প্রতিরক্ষার সদর দফতর পেন্টাগন। তবে উড়ন্ত বস্তুসমূহ ভিনগ্রহী যান নয় বলে দাবি তাদের। (Pentagon UFO Report)


উড়ন্ত চাকি এবং আকাশে রহস্যময় বস্তুর আবির্ভাবের ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধান চালানো হবে বলে ২০২২ সালে ঘোষণা করে পেন্টাগন। সেই মতো শুক্রবার একটি বিশদ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তারা। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যত এই ধরনের ঘটনা সামনে এসেছে, তাতে কোথাও ভিনগ্রহী যান বা ভিনগ্রহী প্রাণীদের পৃথিবীতে ঘোরফেরার প্রমাণ মেলেনি। সাধারণ কিছু ঘটনাকেই অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে বিস্ময়কর দাবি সামনে এসেছে বলে দাবি করেছে তারা। (Science News)


২০২৩ সালের ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট, ARRO-র আওতায় ১৯৯৫ সাল থেকে এযাবৎকালীন অজ্ঞাত পরিচয় উড়ন্ত যান নিয়ে ওই রিপোর্ট তৈরি করা হয়। গত সপ্তাহে রিপোর্টের প্রথম দু'টি অধ্যায় জমা পড়ে আমেরিকার কংগ্রেসের কাছে। পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি মেজর জেনারেলস প্যাট রাইডার বলেন, "সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখে ভিনগ্রহী প্রযুক্তির সপক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি।"


আরও পড়ুন: Nuclear Reactor on Moon: চাঁদের মাটিতে পারমাণবিক চুল্লির নির্মাণ, হাত মেলাল রাশিয়া ও চিন


বেশ কিছু ঘটনা সত্যিই আশ্চর্যজনক এবং বিস্ময়কর বলে যদিও মেনে নিয়েছে ওই রিপোর্ট। তবে আসলে কী ঘটেছিল, সেই সক্রান্ত উন্নতমানের ফুটেজও মেলেনি, বিশদ তথ্যও পাওয়া যায়নি। তাই কিছু ঘটনাকে বিস্ময়কর দাবি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, উড়ান নিরাপত্তা থেকে প্রতিপক্ষ দেশের ষড়যন্ত্র, ১৯৪৫ সাল থেকে সব সম্ভাবনা সামনে রেখেই তদন্ত চলছিল। কিন্তু ভিনগ্রহী যান বলে কিছুতে চিহ্নিত করা যায়নি।


পেন্টাগনের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভিনগ্রহীদের আগমনের বিষয়টি সরকার চেপে যাচ্ছে, সাধারণ মানুষের থেকে বিষয়টি গোপন রাখা হচ্ছে, ভিনগ্রহীদের দেহাংশ উদ্ধার হয়েছে বলে নানা দাবি সামনে এসেছে। কিন্তু এর অধিকাংশই মনগড়া। নিজের বিশ্বাস থেকে গল্প ফেঁদেছেন কেউ কেউ। গবেষণার পরবর্তী অধ্যায়ে এ নিয়ে আরও বিশদ তথ্য তুলে ধরা হবে। 


ভিনগ্রহীদের আগমন, ভিনগ্রহী যানের আবির্ভাগ সংক্রান্ত বহু দাবিদাওয়াই গত কয়েক দশক ধরে খারিজ করে আসছে আমেরিকা। নতুন যে সমস্ত দাবিদাওয়া জমা পড়ে, সম্প্রতি তা-ও খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়। কিন্তু তার সপক্ষে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে দাবি পেন্টাগনের।