নয়া দিল্লি: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্ব এবং ইউরোপের বেশ কিছু দেশে খরার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একটি সায়েন্স জার্নালে গবেষণার একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে শুধু নদী নয়, হ্রদগুলো ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি নয়, ১৯৯০ সাল থেকেই একাধিক নদীর নাব্যতা কমতে শুরু করেছে। কিন্তু যে হারে হ্রদগুলোও শুকিয়ে যাচ্ছে তা চিন্তার ভাঁজ চওড়া করেছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এই পরিস্থিতির জেরে কৃষি, জলবিদ্যুৎ এবং মানুষের ব্যবহারের প্রয়োজনের জন্য জলের ব্যবহার একটি বড় চ্যালেঞ্জের কারণ হতে পারে। এই সায়ন্স জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে হ্রদে যে পরিমাণ জল সঞ্চিত থাকে তা স্বল্প হলেও জলবায়ুর ওপর এর একটি প্রভাব রয়েছে। ফলে বিশ্বে যে গ্লোবাল ওয়ার্মিং হচ্ছে তাঁর জেরে জল যেমন কমেও আসছে তেমন তাপমাত্রা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই জল না থাকাও বড় সমস্যা তৈরি করতে চলেছে আগামী দিনে।
গবেষকরা জানিয়েছেন যে বিশ্বের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পানীয় জলের উৎস ইউরোপ এবং এশিয়ার মধ্যবর্তী ক্যাস্পিয়ান সাগর থেকে দক্ষিণ আমেরিকার টিটিকাকা হ্রদ পর্যন্ত প্রায় তিন দশক ধরে প্রতি বছর প্রায় ২২ গিগাটন জল কমেছে।যা হ্রদের আয়তনের প্রায় ১৭ গুণ বেশি।
গবেষকরা জানিয়েছেন এই প্রাকৃতিক হ্রদগুলির জল প্রায় ৫৬ শতাংশ কমে যাওয়ার জেরে জলবায়ু উষ্ণায়ন সমস্যা বেড়েছে। গবেষকরা জলবায়ু এবং হাইড্রোলজিক্যাল মডেলের স্যাটেলাইট ব্যবহার করে প্রায় ২ হাজার বড় হ্রদের চরিত্র ও অবস্থা মূল্যায়ন করেছেন।
বৃহস্পতিবারে প্রকাশিত সায়েন্স জার্নালের সমীক্ষায় এও বলা হয়েছে মানুষের ব্যবহার করা এশিয়ার সাগর, মধ্যপ্রাচ্যের ডেড সি, আফগানিস্তান, মিশর এবং মঙ্গোলিয়ার হ্রদগুলিরও অবস্থা কম বেশি একই রকম। উচ্চ তাপমাত্রায় ক্রমসহ কমছে জলের আধার। যার ফলে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণও কমছে রেকর্ড হারে। তাই অবিলম্বে জল সঞ্চয় বৃদ্ধি না করলে আগামী দিন আরও গুরুতর হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করছেন গবেষকরা।
আরও পড়ুন, চিনির পরিবর্ত হিসেবে খাবারে যোগ করতে পারেন এইসব 'ন্যাচারাল সুইটনার'