কলকাতা: মহাবিশ্ব এক অনন্ত বিস্ময়। এখনও তা হয়তো অনেকটাই অজানা। তার কতটুকুই বা মানুষ জানতে পেরেছে! বিজ্ঞানীরাও এখন প্রতিদিন হতবাক হয়ে যান নতুন সব কথা জানতে পেরে।
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এমন এক যন্ত্র যা এই অনন্ত বিশ্বের অনেক ধাঁধার উত্তর দিচ্ছে। অনেক এমন তথ্য ছবিতে তুলে নিয়ে আসছে যা বিজ্ঞানীরা জানতেন না, দেখেননি।
আর এসব তথ্য থেকে বিজ্ঞানীরা অনেক নতুন কিছুর সন্ধান পাচ্ছেন যা তাঁদের মহাবিশ্বকে একটু একটু করে চেনাচ্ছে। যেমন জেমস ওয়েব এবার এমন এক ছবি তুলে এনেছে তা দেখে কার্যত উৎফুল্ল বিজ্ঞানীরা।
মহাবিশ্বে যে কার্বন যৌগ ভেসে বেড়াচ্ছে তা আগেই জানতেন বিজ্ঞানীরা। এটাও জানা ছিল যে যেকোনও প্রাণের উৎসও এই কার্বন যৌগের ওপরই দাঁড়িয়ে আছে। এবার সেই কার্বন যৌগেরই একটি একদম নতুন ধরনের খোঁজ দিল জেমস ওয়েব।
জেমস ওয়েব একটি নতুন নক্ষত্রপুঞ্জের দেখা পেয়েছে। বহু বহু দূরের সেই নক্ষত্রপুঞ্জে এই নতুন ধরনের কার্বন যৌগের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
মিথাইল ক্যাটায়ন নামে এই কার্বন যৌগটির খোঁজ যে নক্ষত্রপুঞ্জে পাওয়া গিয়েছে তা পৃথিবী থেকে ১ হাজার ৩৫০ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে। তবে এই নতুন খোঁজ বিজ্ঞানীদের মহাবিশ্বকে আরও ভাল করে জানতে যে বড় ভূমিকা নেবে তা মেনে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।
অন্যদিকে, প্রায় দু'বছর ধরে মঙ্গল গ্রহে অন্বেষণ করে চলেছে নাসার পাঠানো রোভার। বেশ কিছু অদ্ভূত দর্শন ছবিও পাঠিয়েছে। যা নিয়ে জোর জল্পনাও হয়েছে জ্যোতির্বিজ্ঞানী মহলে। এরই মধ্যে রোভার একটি ছবি পাঠিয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি পাথর, যা দেখতে অবিকল ডোনাট (Doughnut)-এর মতো। এর কেন্দ্রে একটি গর্তও রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এটি মঙ্গলের নিজস্ব পাথর নয়। হয়তো বাইরে থেকে এসে পড়েছে এই গ্রহে।
SETI ইনস্টিটিউট ডোনাট আকৃতির পাথরের একটি ছবি শেয়ার করেছে। ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুসারে, পারসিভারেন্সের সুপারক্যাম রিমোট মাইক্রো-ইমেজারের মাধ্যমে এই ছবিটি তোলা হয়েছিল। ইন্ডিপেনডেন্টের মতে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গ্রহে ভালুকের মুখের মতোও একটি কাঠামো আবিষ্কার করেছেন। কাঠামোটি একটি শিলা গঠনে তৈরি। যেখানে দুটি গর্ত ছিল যা "ভালুকের চোখ" তৈরি করেছিল। একটি ভেঙে পড়া একটি ভি-আকৃতির পাহাড় তৈরি করেছে।