কলকাতা: প্লাস্টিকের উপকারের পাশাপাশি অপকার এবার প্রকৃতি ছাড়িয়ে মানবদেহে। মানব মস্তিষ্কে উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে প্লাস্টিকের পরিমাণ। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাইক্রোপ্লাস্টিক মস্তিষ্কের একাধিক সংবেদনশীল জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। মস্তিষ্কের এই 'প্লাস্টিক দূষণের' জেরে শরীরে দানা বাঁধতে শুরু করেছে ভয়ঙ্কর সব রোগ।
এই পরিস্থিতিতে লাগাম টেনে ধরতে বিশ্বব্যাপী জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গবেষকরা। কাধিক গবেষণায় দেখা গেছে মানুষের ফুসফুস, প্ল্যাসেন্টাস, প্রজনন অঙ্গ, যকৃত, কিডনি, হাঁটু এবং কনুইয়ের জয়েন্ট, রক্তনালী এবং অস্থি মজ্জাতে প্লাস্টিকের ক্ষুদ্র কণার অস্তিত্ব সনাক্ত করা হয়েছে।
গবেষণায় কী দেখা যাচ্ছে?
গবেষকরা চলতি বছরের শুরুতে ২৪ জনের মস্তিষ্কের নমুনা পরীক্ষা করেন। যাতে গড়ে মস্তিষ্কের মোট ওজনের শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ প্লাস্টিক কণা পাওয়া গিয়েছে। যাকে উদ্বেগজনক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। দ্য গার্ডিয়ান-এর তরফে একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যাথিউ ক্যাম্পেন বলেন, 'আমাদের মস্তিষ্কে যে এত পরিমাণ প্লাস্টিক থাকতে পারে তা আমি কল্পনাও করিনি। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত নমুনা থেকে দেখা গিয়েছে সবচেয়ে প্লাস্টিক-দূষিত টিস্যুগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে মস্তিষ্কের কোষ।'
সেদাত গুন্দোগদু, যিনি তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রোপ্লাস্টিক নিয়ে গবেষণা করেন তিনি বলেন, 'গবেষণার ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে, প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলা করার জন্য এখনই বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা অপরিহার্য'। মানুষ যেসব মাইক্রোপ্লাস্টিকের সংস্পর্শে আসে সেগুলো ৫ মিমি ব্যাসের চেয়ে ক্ষুদ্র কণা। বায়ু, জল এবং এমনকি খাবারের মাধ্যমে অনেকটাই মাত্রায় এসব প্লাস্টিক কণা মানুষের শরীরে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন, মিথ্যে বললেই ধরা পড়ে এই পরীক্ষায়? কী হয় পলিগ্রাফ টেস্টে?
কী ধরনের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি করছে?
এই ধরনের মাইক্রোপ্লাস্টিক অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়তে পারে যাতে কোষ ক্ষতিগ্রস্ত এবং ফুলে যেতে পারে। যা পরবর্তীতে কার্ডিওভাসকুলার রোগের কারণ হতে পারে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে