নয়া দিল্লি: পৃথিবীর আশপাশ দিয়ে প্রতিনিয়তই ছুটে চলে গ্রহাণু থেকে উল্কা। এদের মধ্যে অনেকসময়ই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে উল্কা। তবে গ্রহাণু সংঘর্ষ উল্কাপাতের থেকে অনেকটাই আলাদা, অনেকটাই প্রাণঘাতীসম। গ্রহাণুর কক্ষপথ, ভর এবং বেগের উপর নির্ভর করে সেটি আদৌ পৃথিবীর কক্ষপথে ছুটে আসবে কি না। নাসার তরফে বলা হয়েছে, তারা মনে করছেন ৭২ শতাংশ চান্স আছে এই গ্রহাণু হয়তো পৃথিবীকে আঘাত কর‍তে পারে। 


নাসার তরফে এও জানান হয়েছে কীভাবে এই গ্রহাণুটিকে পৃথিবীর পাশ কাটিয়ে বের করে দেওয়া যেতে পারে তা এখনও নিশ্চিত করতে পারছেন না। স্পেস এজেন্সির তরফে জানান হয়েছে এপ্রিলেই একটি biennial Planetary Defense Interagency Tabletop প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছিল। আগামী কয়েক বছরের মদহ্যে কোনও গ্রহাণু হয়তো আছড়ে না-ও পড়তে পারে। তবে কোনও গ্রহাণু যদি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে সেক্ষেত্রে কী কী করা যায় তা নিয়েই হয় ওই প্রশিক্ষণটি। বিজ্ঞানীমহল ছাড়াও সরকারি আধিকারিকরাও ছিলেন ওই অনুষ্ঠানটিতে। 


ওয়াশিংটনে NASA সদর দফতরের এক অফিসার লিন্ডলি জনসন বলেছেন, আগামী দিনে একটি গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। সেই চ্যালেজিং পরিস্থিতি বিবেচনা করে কীভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগকে আটকানো যায়, কীভাবে এড়ানো যায় সংঘর্ষ, প্রতিরোধ করার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, সেই বিষয়গুলো এখন গুরুত্ব দিয়ে বিশ্লেষণ করছেন বিজ্ঞানীরা। 


নাসার তরফে বলা হয়েছে, ১২ জুলাই ২০৩৮ এ এই গ্রহাণু সংঘর্ষ হতে পারে। অর্থাৎ কীভাবে প্রতিরোধ সম্ভব তা নিয়ে বিশ্লেষণ করার জন্য হাতে রয়েছে ১৪ বছরের কিছুটা বেশি সময়। এটি ছিল নাসার ডার্ট (ডাবল গ্রহাণু পুনর্নির্দেশ পরীক্ষা) মিশনের ডেটা ব্যবহার করার প্রথম অনুশীলন। DART হল সম্ভাব্য গ্রহাণুর প্রভাবের বিরুদ্ধে গ্রহকে রক্ষা করার জন্য একটি প্রযুক্তির প্রথম ইন-স্পেস প্রদর্শন। DART এও নিশ্চিত করেছে যে গতির প্রভাবে একটি গ্রহাণুর গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে। 


আরও পড়ুন, ২৪ ঘন্টায় ৩ রাশির জীবনে আমূল পরিবর্তন হতে চলেছে? ধন কুবের যোগে বিশাল লক্ষ্মীলাভ


পাশাপাশি প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে নাসা জানিয়েছে গ্রহাণুর আকার, গঠন এবং দীর্ঘমেয়াদী গতিপথ সঠিকভাবে নির্ধারণ করার জন্য এখনই সব তথ্য যথেষ্ট নয়। 



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে