নয়াদিল্লি : গত ৮ মাস ধরে মহাকাশে আটকে। কবে, তাঁরা ফিরবেন পৃথিবীতে ? এনিয়ে বিগত কয়েক মাস সমানে চর্চা চলেছে। এবার জানা গেল দিনক্ষণ। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাসেই বাড়ি ফিরছেন সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর। CNN-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুনীতা এবং তাঁর ক্রু পার্টনার বুচ নিশ্চিত করে জানিয়েছেন যে, ১২ মার্চ Crew-10 মিশন শুরু হচ্ছে পৃথিবী থেকে। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই অর্থাৎ ১৯ মার্চ তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারবেন।
উদ্ধারে Crew-10 মিশন
NASA-র চার মহাকাশচারীকে নিয়ে শুরু হতে চলেছে Crew-10 মিশন। সেই দলে থাকছেন- অ্যান ম্যাকলেন, নিকোল আইয়ার্স, Japan Aerospace Exploration Agency-র মহাকাশচারী টাকুয়া ওনিশি এবং কিরিল পেসকভ। স্পেশ স্টেনে ৬ মাসের দীর্ঘ মিশন চলবে তাঁদের। Crew-10 মিশন পৌঁছনোর পর, দুই মহাকাশচারী সপ্তাহব্যাপী হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন। নতুন স্পেশ স্টেশন কমান্ডার দায়িত্ব নেবেন। এই মুহূর্তে সুনীতা উইলিয়ামস ফ্লাইং ল্যাবরেটরির কমান্ডার।
হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে, উইলিয়ামস ও উইলমোর ড্রাগন মহাকাশযানে চড়বেন। যেটা Crew-10 কে মহাকাশে নিয়ে যাবে। সুনীতা ও বুচকে নিয়ে ওই মহাকাশ যান ১৯ মার্চ পৃথিবীতে নামবে। CNN-এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বুচ উইলমোর বলছেন, "পরিকল্পনা হচ্ছে, Crew-10 মিশন শুরু হবে ১২ মার্চ। এক সপ্তাহ পর ১৯ মার্চ আমরা ফিরব।"
মাত্র আটদিনের অভিযানে গিয়ে টানা আটমাস ধরে আটকে মহাকাশে। সেই থেকে তাঁরা মহাকাশে আটকে মহাকাশযানের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে। সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হয়ে এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দায়িত্ব নিয়েই, ট্রাম্প SpaceX-এর এলন মাস্ককে বলেন, মহাকাশে আটকে থাকা মহাকাশচারীদের ফিরিয়ে আনতে। দ্রুত তাঁদের ফিরিয়ে আনার কথা বলা হয়। তার পর পরই এই আপডেট সামনে এল।
দিনকয়েক আগেই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্রিকোয়েন্সি অ্যান্টেনা টেনে বের করে আনতে হয় সুনীতা এবং ব্যারিকে। ডেস্টিনি ল্যাব এবং কোয়েস্ট এয়ারলক থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে হয়। কিন্তু অ্যান্টেনাটি আটকে যায়। প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় সেটিকে বের করতে সক্ষম হন সুনীতা এবং ব্যারি। যেভাবে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন সুনীতা এবং ব্যারি, তাঁদের প্রশংসায় ভরিয়ে গিয়েছে NASA. কারণ ওই অ্যান্টেনাটি বের করা অত্যন্ত জরুরি ছিল। ওই নমুনার উপর আগামী ভবিষ্যৎ অভিযান অনেকাংশে নির্ভর করছে। বিজ্ঞানীরা দেখতে চান, মহাকাশের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অণুজীব বেঁচে থাকতে পারে কি না, প্রজননে সক্ষম হয় কি না। ভবিষ্যতে চাঁদ এবং মঙ্গল অভিযানের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা সহায়ক হবে।