কলকাতা: বিরলতম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের (Rarest Total Solar Eclipse) সাক্ষী থাকল বিশ্বের একাংশ। চাঁদের ছায়ায় সম্পূর্ণ ঢাকা পড়ে গেল সূর্য। দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হল সোমবার। এই গ্রহণের বিশেষত্ব হল এর স্থায়িত্ব।
২০২৪ সালের প্রথম সূর্যগ্রহণ হল সোমবার
চলতি বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ দেখা গেল সোমবার। এই গ্রহণ চলল টানা সাড়ে ৩ থেকে ৪ মিনিট ধরে। এতটা সময় ধরে চাঁদের ছায়ায় সম্পূর্ণ ঢেকে ছিল সূর্য। স্পষ্ট দেখা যায় সূর্যের বাহ্যিক স্তর করোনা।
সর্বপ্রথম গ্রহণ দেখা যায় উত্তর আমেরিকার মেক্সিকো (Mexico) থেকে। এছাড়াও গ্রহণ দেখা গেল আমেরিকা, কানাডার বিভিন্ন প্রান্তে। তবে ভারত থেকে এই গ্রহণ দেখা যায়নি। সেই খবরও আগেই জানা গিয়েছিল। কিন্তু এখন ইন্টারনেটের যুগে সচক্ষে না হলেও ভার্চুয়ালি বিশ্বের সকল প্রান্তের বাসিন্দারাই এই বিরল গ্রহণের সাক্ষী থাকতে পেরেছেন।
এই ধরনের পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের আগামী ২০ বছরে দেখা নাও মিলতে পারে। সূর্যের আলোয় আলোকিত হয় সবক’টি গ্রহ ও উপগ্রহ। ঘুরতে ঘুরতে চাঁদ, সূর্য আর পৃথিবীর মাঝে এসে পড়লে হয় সূর্যগ্রহণ। চাঁদ যখন পুরোপুরি সূর্যকে ঢেকে দেয়, তখন রাতের মতো অন্ধকার নেমে আসে পৃথিবীতে। সেই অবস্থাকে বলে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। মহাজাগতিক এই ঘটনাকে নিয়ে উত্তর আমেরিকার নিউফাউন্ডল্যান্ড, ডালাস, ফিলাডেলফিয়া সহ একাধিক শহরে উৎসাহ তুঙ্গে। তৈরি ছিলেন বিজ্ঞানীরাও। এদিন রেকর্ড করা হল নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
ভারতীয় সময়ে কখন হল সূর্যগ্রহণ?
যদিও ভারতের আকাশে এই গ্রহণ (Solar eclipse) দেখা যায়নি। তবে ভারতীয় সময় ৮ এপ্রিল রাত ন'টার একটু পর থেকে শুরু হয় গ্রহণ। রাত ১২টা পেরিয়ে ৯ এপ্রিল পড়ার পরে রাত আড়াইটের একটু আগে শেষ হয় গ্রহণ। পূর্ণগ্রাস শুরু হয় ৮ এপ্রিল রাত ১০টা বেজে ৮ মিনিটে। ফলে যখন পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ ঘটে তখন পৃথিবীর অবস্থান এমন ছিল যে ভারত সূর্যের উল্টোদিকে রইল। ফলে ভারতের আকাশ থেকে ওই গ্রহণ দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: Science News: সমুদ্রগর্ভে জমছে লাখ লাখ টন প্লাস্টিক, কোন বিপদের আশঙ্কা ?
মহাজাগতিক ঘটনাগুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল সূর্যগ্রহণ (Total Solar Eclipse)। পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে চাঁদ এসে হাজির হলে বিশেষ পরিস্থিতিতে গ্রহণ ঘটে। কখনও চাঁদ সূর্যকে আংশিক ঢেকে দেয়- সেক্ষেত্রে আংশিক সূর্যগ্রহণ হয়। কখনও চাঁদ প্রায় পুরোপুরি সূর্যকে ঢেকে দেয়- সেটা পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। চাঁদ সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে দিলে পৃথিবীর উপর ছায়া পড়ে। পৃথিবীর যে অংশে এই ছায়া অঞ্চল তৈরি হয় সেখানকার বাসিন্দারা পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণে সাক্ষী থাকতে পারেন। যাঁরা ওই অঞ্চল যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় Path of totality বলে- সেখানে থাকেন না তাঁরা আংশিক সূর্যগ্রহণের সাক্ষী থাকেন। এক এক জায়গায় এক এক রকম ভাবে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যায়।
যেমন জানানো হয়েছিল ঠিক সেই অনুযায়ী, NASA-থেকে লাইভ স্ট্রিমের মাধ্যমে এই সূর্যগ্রহণ পুরোটা দেখানো হয় ভার্চুয়ালি।