নয়া দিল্লি: সৌরজগতের (Solar System) দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ (Planet) এটি। রাতের আকাশে খালি চোখে শনি দেখার সুযোগ সাধারণত হয় না। পৃথিবীর (Earth) খুব কাছাকাছি এলে অনেকসময় টেলিস্কোপে (Telescope) চোখ লাগালে গ্রহটিকে দেখা যায়। তবে এবার খালি চোখেই দেখা যাবে শনিকে (Saturn)?                                                 

  


জানা যাচ্ছে, চলতি সপ্তাহে বলয় নিয়েই ঊজ্জ্বল হবে শনি। শুধু ঊজ্জ্বল হবে তাই-ই নয়, অনেকটা বড়োও দেখাবে শনিকে। আকাশে চোখ রেখে যারা গ্রহ-নক্ষত্রর গতিবিধি দেখতে পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য সুখবর। এই সপ্তাহান্তে, শনি সরাসরি সূর্যের বিপরীতে পৃথিবীর মাঝখানে অবস্থান করবে। নাসার মতে, গ্যাসে পরিপূর্ণ এই গ্রহটি সেই সময় পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে থাকবে। এই দুটি মহাজাগতীয় ঘটনার জন্য এই সপ্তাহান্তে শনিকে সবচেয়ে উজ্জ্বল এবং সবচেয়ে বড় দেখাবে।


নাসার তরফে জানান হয়েছে, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এমনই দৃশ্যমান থাকবে গ্রহটি। স্পেস ডটকম অনুসারে এই সপ্তাহেই শনি তার সেরা অবস্থানে থাকবে। রবিবার থেকে গ্রহটির অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে। ২০২৩ সালে শনির এত ঊজ্জ্বল চেহারা এর আগে দেখা যায়নি। ফলে খালি চোখে তাকিয়ে থাকলে বুঝতে পারা যাবে। এছাড়া টেলিস্কোপ দিয়েও দেখা যাবে পরিষ্কার। 


আরও পড়ুন, চন্দ্রপৃষ্ঠের দক্ষিণ মেরুতে তাপমাত্রা কেমন? গভীরতার সঙ্গে উষ্ণতার সম্পর্কই বা কী?


টেলিস্কোপে দেখলে শনির বলয়গুলি একদম স্পষ্ট বুঝতে পারা যাবে। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিল, ধীরে ধীরে যেন অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে শনির বলয়। বলয়ের যে ঘনত্ব ছিল তা অনেকটাই কমেছে বলে মত বিজ্ঞানীদের। ডঃ জেমস ও'দোনোঘু একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তাঁরা এই বলয় হ্রাসের কারণ খুঁজতে ব্যস্ত বর্তমানে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, শনির বলয় শনির নিজস্ব। কোনও বহির্বিশ্বের প্রভাব সেখানে নেই।


শনির মাধ্যাকর্ষণে বলয় আকারে কোটি কোটি পাথরখণ্ড ঘুরে চলেছে অবিরাম যা এমন বলয়ের মতো দেখায়। সেই বলয় ভেদ করে শনিতে প্রবেশের ক্ষমতা পৃথিবীর বিজ্ঞানের হয়নি। শনি গ্রহের এই বলয় মূলত ধূলিকণা, পাথরের টুকরো এবং বরফের ছোট ছোট টুকরো দিয়ে তৈরি । ব্যাস প্রায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার মাইল। এই দীর্ঘ প্রথম অতিক্রম করে মিথেন গ্যাসের ভাণ্ডার শনিতে মানুষের পদধূলি পড়েনি।