ওয়াশিংটন: আট দিনের অভিযানে গিয়ে নয় নয় করে আট মাস পার হতে চলেছে। এখনও মহাকাশে আটকে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোর। এবার সুনীতাকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব পেলেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। আমেরিকার নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর বিশ্বস্ত বন্ধু মাস্কের কাঁধে এই দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন। (Sunita Williams)


সুনীতাকে পৃথিবীতে ফেরানোর দায়িত্ব ট্রাম্প তাঁকে দিয়েছেন বলে নিজেই ঘোষণা করেছেন মাস্ক। মাইক্রোব্লগিং সাইট X (সাবেক টুইটার)-এ তিনি লেখেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে দুই মহাকাশচারীকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব  আমেরিকার প্রেসিডেন্ট SpaceX-কে দিয়েছেন। আমরা সেটা করব। ভয়ঙ্কর বিষয় যে বাইডেন সরকার এতদিন তাঁদের মহাকাশে ফেলে রেখে গিয়েছে’। (Elon Musk)


মাস্কের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা SpaceX সুনীতা এবং ব্যারিকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে পারে বলে আগেই জানা গিয়েছিল যদিও। ট্রাম্প শপথ নেওয়ার ঢের আগে, জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীনই আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA সেই ঘোষণা করেছিল। তবে মাস্ক ট্রাম্পের সমর্থক। ট্রাম্পের প্রচারে কোটি কোটি টাকা ঢেলেছিলেন তিনি। তাই সুনীতা ও ব্যারির মহাকাশে এতদিন আটকে থাকার জন্য তিনি বাইডেনকে কাঠগড়ায় তুলছেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।


গত বছর জুন মাসের গোড়ায় মহাকাশ অভিযানে যান সুনীতা এবং ব্যারি। বোয়িং স্টারলাইনারের যে মহাকাশযান চেপে রওনা দেন, তা গোড়া থেকেই সমস্যায় ফেলছিল তাঁদের। এমনকি গোলযোগের জেরে অভিযান পিছিয়েও যায় বার বার। মহাকাশে গিয়ে সেই সমস্যা আরও বাড়ে। চুঁইয়ে তরল পড়তে থাকে মহাকাশযান থেকে। ফলে ওই মহাকাশযানে চাপিয়ে সুনীতা এবং ব্যারিকে পৃথিবীতে ফেরানোর ঝুঁকি নেয়নি NASA. তাঁদের জন্য অন্য ব্যবস্থার করা হবে বলে জানানো হয়। 


কিন্তু তার পর থেকে নয় নয় করে আট মাস কাটতে চলেছে। এখনও পৃথিবীতে ফিরতে পারেননি সুনীতা এবং ব্যারি। মহাকাশে থাকাকালীন গবেষণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। স্পেসওয়াকে ইতিহাসও তৈরি করেছেন সুনীতা। কিন্তু তাঁর ঘরে ফেরার অপেক্ষা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। SpaceX-এর একটি যান ইতিমধ্যেই মহাকাশে পৌঁছে গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত তার নিজের কাজ শেষ হয়নি। ফলে সুনীতা এবং ব্যারি এখনও আটকে রয়েছেন মহাকাশে। যদিও তাঁরা আটকে গিয়েছেন বলে মানতে নারাজ NASA. সুনীতা এবং ব্যারির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিলেও, NASA-র দাবি, তাঁরা সুস্থ আছেন।