নয়াদিল্লি: মনে মনে ১৬, ১৮, নিজেকে যা-ই ভাবুন না কেন, সময়ের সঙ্গে চুলে পাক ধরবেই (Grey Hair)। কম বয়সে যে চুল পাকে না, তা একেবারেই নয়। তবে পাকা চুল আর বার্ধক্য প্রায় সমার্থকই। কিন্তু কেন পাক ধরে চুলে, এতদিনে কারণ আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা (Human hair)।


চুল পাকার কারণ নিয়ে গবেষণার বিশদ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে


বিজ্ঞান পত্রিকা নেচার-এ চুল পাকার কারণ নিয়ে গবেষণার বিশদ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে (Science News)। তাতে বলা হয়েছে, মেলানোসাইট কোষগুলি চুলের ফলিকলের মধ্যে আটকে গেলে, তা থেকে আর রঙ্গক উৎপন্ন হয় না, যা কিনা প্রাকৃতিক ভাবে চুলের রং ঠিক করে (Melanocyte Stem Cells)।


বিগত দুই বছর ধরে এ নিয়ে গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। ইঁদুরের রোমের প্রতিটি কোষ এক এক করে পরীক্ষা করে দেখেছেন। তাতে চুলের রং যে মেলানোসাইটের কোষই নিয়ন্ত্রণ করে, সে ব্যাপারে নিশ্চিন্ত গবেষকরা।


আরও পড়ুন: COVID Deaths: ঝুঁকি বাড়ছে প্রবীণদের নিয়ে! একদিনে রাজ্যে দুই করোনা রোগীর মৃত্যু


গবেষণাগারে বসে কোষের বয়সবৃদ্ধি নিরীক্ষণ করেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, ইঁদুরের বয়স অনুযায়ী, রঙ্গক উৎপাদনকারী কোষের মধ্যেও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। সবার আগে মেলানোসাইট কোষের কার্যক্ষমতা হারায়। তার ফলেই চুলে পাক ধরতে শুরু করে। মানবশরীরের ক্ষেত্রেও এই সূত্র প্রযোজ্য বলে মত তাঁদের।


নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির গ্রসম্যান স্কুল অফ মেডিসিনের অধ্যাপক মায়ুমি ইতো জানিয়েছেন, মানুষের বয়সের সঙ্গে চুলেরও বয়স বাড়ে। সেই অনুযায়ী চুল পড়ে, আবার গজায়ও। মেলানোসাইট কোষের পরিবর্তনও ঘটতে থাকে। এক সময় ফলিকলের মধ্যে আটকে যায়। ফলে কোষগুলি পূর্ণাঙ্গ রূপ পেতে পারে না। তাতে রঙ্গকের উৎপাদনও আটকে যায়। আর তাতেই পাক ধরে চুলে।


আগামী দিনে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক প্রমাণিত হতে পারে এই গবেষণা


এই আবিষ্কার বয়স ধরে রাখার ক্ষেত্রে না হলেও, চুল পাকা আটকাতে আগামী দিনে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক প্রমাণিত হতে পারে বলে মত বিজ্ঞানীদের। তাঁদের মতে কারণ যখন জানা গিয়েছে, তার প্রতিকারও বেরিয়ে আসবে।


গবেষণায় নেতৃত্ব দেন বিজ্ঞানী কি সাং। তিনি বলেন, "মেলানোসাইট কোষ থেকেই সমস্যা। ওই কোষ ঠিক ভাবে বসানো গেলেই, সমস্যার সমাধান সম্ভব হতে পারে। এতে চুল পাকার সমস্যা হতে পারে দূর। এক ফলিকল থেকে সরিয়ে সদ্য গজিয়ে ওঠা চুলের ফলিকোলে কোষ সরিয়ে নিয়ে যাওয়াও অসম্ভব থাকবে না।"