কলকাতা: পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ ঘিরে উৎসাহ তুঙ্গে, তার আগে চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী থাকবে বিশ্ব। যে সে চন্দ্রগ্রহণ নয়, 'Worm Moon Eclipse'। আগামী ২৪ মার্চ দোল পূর্ণিমা পড়ছে। ২৫ মার্চ পূর্ণিমার চাঁদের উপরই উপচ্ছায়ার দেখা মিলবে। ফলে পূর্ণির চাঁদের স্বাভাবিক জৌলুস থাকবে না ওইদিন। বরং ওইদিন চাঁদকে অনুজ্জ্বল এবং নিষ্প্রভ দেখাবে। কারণ ওই দিন পৃথিবীর ছায়ার খানিকটা অংশ চাঁদের উপর পড়বে। ওই ছায়া সরে গেলে আবার আগের রূপে ধরা দেবে চাঁদ। (Worm Moon Eclipse)
আগামী ৮ এপ্রিল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ, তার আগেই চন্দ্রগ্রহণ। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, সোমবার সকাল ১০টা বেজে ২৪ মিনিটে পৃথিবীর ছায়া পড়বে চাঁদের উপর। ছায়া সবচেয়ে গাঢ় হবে দুপুর ১২টা বেজে ৪৩ মিনিটে। দুপুর ৩টে বেজে ১ মিনিটে চাঁদের উপর থেকে ছায়া সরে যাবে। এর পরই চাঁদ, পৃথিবী এবং সূর্যের অবস্থান ধীরে ধীরে সমান্তরাল হবে, যার ফলশ্রুতি ৮ এপ্রিলের পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। (Total Solar Eclipse)
উত্তর আমেরিকায় ২৪ মার্চ অর্থাৎ রবিবার গোধূলিবেলায় এই গ্রহণ দেখা যাবে প্রথম। সবমিলিয়ে চার ঘণ্টা ৩৯ মিনিট স্থায়ী হবে গ্রহণ। চন্দ্রপৃষ্ঠ হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব থেকে উত্তর-পশ্চিমে ধীরে ধীরে সরবে পৃথিবীর ছায়া। ছায়া যখন সবচেয়ে গাঢ় থাকবে, সেই সময় সূর্যের আলো চাঁদে পৌঁছবে না। ফলে চাঁদের ৯৫ শতাংশ অংশই ওই সময় ছায়ায় ঢাকা থাকবে। (Worm Moon)
চন্দ্রগ্রহণ ২০২৪: তারিখ ও সময়
তিথি | তারিখ ও সময় |
পূর্ণিমার সূচনা | ২৪ মার্চ, সকাল ৯.৫৪ |
পূর্ণিমার সমাপ্তি | ২৫ মার্চ, দুপুর ১২.২৯ |
প্রথম ছায়ার পতন | ২৫ মার্চ, সকাল ১০.২৪ |
গাঢ় ছায়া | ২৫ মার্চ, দুপুর ১২.৪৩ |
ছায়ামুক্ত | ২৫ মার্চ, দুপুর ৩.০১ |
আরও পড়ুন: Earth Hour 2024: ঘর অন্ধকার করে আলোর খোঁজ, শনিবার Earth Hour পালন করবে গোটা বিশ্ব
এই চন্দ্রগ্রহণকে ইংরেজিতে 'Worm Moon Eclipse' বলা হয়। এই নামের আগমন আমেরিকা থেকে। শীতের শেষে এবং বসন্তের শুরুতে এই সময় কেঁচো, পোকামাকড় মাটি এবং গাছের ছাল সরিয়ে বেরিয়ে আসে বলে এমন নামকরণ বলে জানা যায়। গোটা মার্চ মাস জুড়েই চাঁদকে 'Worm Moon' বলার চল ছিল একসময়।
এর পাশাপাশি, এই চাঁদের আরও একাধিক নাম রয়েছে বিভিন্ন লোককথায়। কোথাও এই চাঁদকে 'Eagle Moon', কোথাও 'Goose Moon', কোথাও আবার 'Crow Comes Back Moon' বলা হতো। শীতপ্রধান দেশগুলিতে এই সময় সূর্যের আলো পড়ে বরফ গলতে শুরু করে। বরফের উপর সূর্যরশ্মি প্রতিফলিত হয়ে চোখে ধাঁধা লেগে যায় বলে কোথাও কোথাও এই চাঁদকে 'Sore Eyes Moon'ও বলা হতো।