তুমি এ মনের সৃষ্টি, তাই মনোমাঝে
এমন সহজে তব প্রতিমা বিরাজে।
যখন তোমারে হেরি জগতের তীরে
মনে হয় মন হতে এসেছ বাহিরা।
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
উপরের এই পংক্তিটি কমবেশি সকলেরই চেনা। চৈতালি কাব্যগ্রন্থে নারী চরিত্রের বর্ণন ঠিক এই ভাবেই করেছেন বিশ্বকবি। কবির কবিতা, থেকে লেখকের কল্পনা, চলচ্চিত্র থেকে অঙ্কিত ছবি, অথবা পূরাণ — নারী চরিত্রকে বিভিন্ন আঙ্গিকে বিভিন্ন ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন বিভিন্ন ব্যক্তি। যেমন এই কবিতা নারীকে মনের অন্তস্থল থেকে বের করে এনেছেন কবি। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই চরিত্রগুলিও বদলেছে। আধুনিক সময়ের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই তা ক্রমে ফুটে উঠছে অবারিত কোনও কাব্য হয়ে। যে কাব্যে প্রেম রয়েছে, গান রয়েছে, আড্ডা রয়েছে, শিকল ভাঙার লড়াই রয়েছে, ঘরের বাইরে বের হয়ে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন রয়েছে।
সেকাল থেকে একাল, কোনও নারী চরিত্রের বুননের তফাৎ করলেই চোখে পড়বে এই পার্থক্যগুলি। ভারতের মতো দেশে, পুরুষতান্ত্রিক সমাজের আঁটোসাটো জড়তা কাটিয়ে স্বাধীনতা ও স্বতন্ত্রতাকেই গতিময় জীবনের সঙ্গী করেছে আধুনিক নারী। যার ফলে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলে গিয়েছে সম্পর্কের ধরনও। যে ধরন নতুন ব্যক্তিত্বকেই চিত্রায়িত করছে।
আজকের নারী স্বাধীনচেতা। যদিও ইতিহাসের পাতা ঘাঁটলে দেখা যাবে, যে কোনও নারী চরিত্রকে বার বার ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তাঁর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা মনের মানুষটিকে নিয়ে। রামায়ণের রাম-সীতা থেকে মহাভারতের পাণ্ডব-দৌপদী, এমনকী শিব পূরাণে স্বয়ং পার্বতীর চরিত্রের বর্ণন রয়েছে শিবের অর্ধাঙ্গিনী রূপে। সেই আঠারো-উনিশ শতকেও কোনও নারীর জীবন কল্পনা করলে দেখা যাবে, তাঁদের জীবনের সিংহভাগ সময়ের কেটে গিয়েছে তাঁর মনের মানুষের সঙ্গে। এখনও নারীদের পরিচয়ে বিশেষভাবে প্রাধান্য পায় তাঁর মনের মানুষ।
অবশ্য সে সময় খানিকটা বদলেছে। রান্নার হেঁশেল সামলানো, গৃহস্থের কাজ ইত্যাদির পাশাপাশি এক অপার স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করছে তাঁরা। চাকরি ক্ষেত্র থেকে মহাকাশ গবেষণা, এই প্রজন্মের নারী ছুঁয়েছে সাফল্যের শিখর। আর সেই কারণেই তাঁরা তাঁদের জীবনসঙ্গী হিসেবে এমন মানুষকে খুঁজে নিচ্ছেন, যাঁরা স্বাধীনচেতা। যে কিনা সেই শিখরে তাঁকে দেবে যোগ্য সঙ্গত। ঘর বাঁধার পাশাপাশি, যাঁর সঙ্গে জীবনটাকে চুটিয়ে উপভোগ করা যাবে। যাঁর সঙ্গে মনের, ভাবনার সামঞ্জস্য থাকবে। সর্বোপরি ভাল থাকা যাবে।
তবে রোজকার এই ব্যস্ত রুটিনের মধ্যে কোথায় পাওয়া যাবে তেমন সঙ্গীর খোঁজ? যার সঙ্গে ‘ভালবাসা কাটাব জীবন’? উত্তর নিয়ে হাজির হয়েছে ABPweddings. বিগত কয়েক বছরে প্রায় লক্ষাধিক-এর বেশি মানুষ ABPweddings.com-এর মাধ্যমে খুঁজে পেয়েছেন সঠিক জীবনসঙ্গীকে।
বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে জীবনসঙ্গীকে সংজ্ঞায়িত করলে দেখা যাবে, সঙ্গী হল সেই যাঁর সঙ্গে মনের এক অদ্ভুত মিল থাকবেই। তাঁদের পছন্দ-অপছন্দ নাও মিলতে পারে, কিন্তু সেই পছন্দ-অপছন্দের তালিকা দু’জনে এক সঙ্গে উপভোগ করতে পারবে। সিনেমার ভাষায়, ভালবাসা ফুটে উঠবে বন্ধুত্বে। যাঁরা সবসময় যে কোনও ক্ষেত্রে একে-অপরের পাশে দাঁড়াবে। আর সেই কারণেই সঙ্গী এমনই হওয়া প্রয়োজন যাঁর মধ্যে এই গুণগুলি রয়েছেই।
আনন্দবাজার গ্রুপের সুদীর্ঘ শতবর্ষের অটুট বিশ্বাস তো রয়েই। ABPweddings-এ আছে ৫ লক্ষের ও বেশি পাত্র-পাত্রীর প্রোফাইল, তাই মনের মতো জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়া খুবই সহজ। এই দু’য়ের যোগসূত্রে তারা বর্তমানে এমন একটি ভরসাযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে যার মাধ্যমে যে কেউ নিশ্চিন্তে তাঁর জন্য সঠিক জীবনসঙ্গীর সন্ধান পেতে পারেন। ঠিক নিজের মনের মতো করেই।
যে কোনও সম্পর্ক তৈরির পূর্বে মানুষ চেনাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসলে নারীরাও এটাই চায়। সেই পথ চলার সময় থেকেই ABPweddings-এর লক্ষ্য হল আসল পরিচয়, সফল পরিণয়। এখানকার প্রতিটি প্রোফাইল Photo ID ভেরিফাইড। ফলে নকল প্রোফাইলের কোনও চিন্তাই নেই।
নারী হোক বা পুরুষ, আধুনিক প্রজন্মকে সাক্ষী করেই বর্তমানে ABPweddings-এ হয়ে উঠেছে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে রয়েছে বাঙালি পাত্র-পাত্রীর বৃহত্তম সমাহার। অতএব আর দেরি নয়। দেবীপক্ষেই হোক প্রেমের সূচনা।
ABPweddings-এ বিনামূল্যে রেজিস্টার করতে ক্লিক করুন www.abpweddings.com-এ। আপনারা সরাসরি চলে যেতে পারেন ABPweddings-এর এক্সক্লুসিভ স্টোরিগুলিতে অথবা কল করতে পারেন ওদের রিলেশনশিপ এক্সপার্টদের 99037 60764 নম্বরটিতে।