১৯ মাস পর প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ৪৭ বছরের তাম্বে যাঁদের আউট করে হ্যাটট্রিক করেছেন, তাঁদের নাম শুনলে চমকে যেতে হয়। কেরালা নাইটস ও সিন্ধিজের ম্যাচের প্রথম ওভারেই ক্রিস গেইল, ইয়োন মর্গ্যান ও কায়েরন পোলার্ড (তিনজনই শূন্য রান)-কে আউট করেন তাম্বে।
সিন্ধিজের স্পিনার কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা পান। তাঁর লো ফুলটসে আউট হন গেইল ও মর্গ্যান। তবে এরপরই ছন্দ ফিরে পান তিনি। তাঁর প্রথম ওভারের শেষ বলে ফ্লিপারে আউট করেন পোলার্ডকে।
এখানেই থামেননি তাম্বে। তাঁর হাত থেকে এমন ইয়র্কার বেরোল, যা লাসিথ মালিঙ্গাকেও গর্বিত করত।তাঁর দ্বিতীয় তথা চূড়ান্ত ওভারে এই ইয়র্কারের শিকার হন ফ্যাবিয়েন অ্যালেন ও উপুল থরাঙ্গা। ২ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট দখল করেন তিনি। টি ১০ ম্যাচে প্রথম কোনও বোলার হিসেবে পাঁচ উইকেট নিলেন তিনি।
বল হাতে তাম্বের এই চমক নতুন নয়। ২০১৪-র আইপিএলে হ্যাটট্রিক করে ম্যাচের রঙ পাল্টে দিয়েছিলেন তাম্বে। মণীষ পান্ডে প্রথমে তাঁর বলে স্ট্যাম্পড আউট হয়েছিলেন। এরপর ইউসুফ পাঠান ও রায়ান টেন ডোয়েসেটেকে আউট করেন। ওই ম্যাচ জিততে কলকাতা নাইট রাইডার্সের শেষ পাঁচ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান। কিন্তু তাম্পের দাপটে জয় অধরাই থেকে গিয়েছিল।
রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দুরন্ত পারফর্মের পর মুম্বইয়ের হয়ে ঘরোয়া টি ২০ টুর্নামেন্ট বিজয় হজারে ট্রফিতে খেলেছিলেন তিনি। গত বছর অবশ্য বাদ পড়েন তিনি। তাঁর শেষ লিস্ট এ ম্যাচ ছিল ২০১৭ তে গোয়ার বিরুদ্ধে।
টি ১০ লিগে খেলতে নেমে তাঁর বোলিংয়ের সুবাদে ১০ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৭ রান করে নাইটস। একটা সময় ২১ রানে ৬ উইকেট পড়ে গিয়েছিল তাদের। ওয়েন পার্নেলের ২৪ বলে ৫৯ রানের ইনিংসে ভর করে নাইটস শেষপর্যন্ত সম্মানজনক স্কোর করতে পারে।
এরপর ৭.৪ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান ১ উইকেট হারিয়ে তুলে নেয় সিন্ধিজ।