নয়াদিল্লি: চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে) এই নিয়ে তৃতীয়বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। গত রবিবার একাদশ আইপিএলের ফাইনালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে টুর্নামেন্টে জয়ী হয়েছে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দল। শেন ওয়াটসনের বিধ্বংসী শতরানের ইনিংসে ভর করে চেন্নাই হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে। চেন্নাইতে ফিরে বীরের অভ্যর্থনা পেয়েছে হুইসেব পডু ব্রিগেড।
ট্রফি জয়ের উত্সবের আড়ালে অলক্ষ্যে থেকে গেল চেন্নাই সুপার কিংসের একটা বড় রেকর্ড।
ফাইনালে চেন্নাই মোট ছয়টি ওভার বাউন্ডারি মেরেছে। এরমধ্যে ১০ টি মেরেছেন ওয়াটসন। সবমিলিয়ে এবারের টুর্নামেন্টে মোট ১৪৫ টি ছক্কা হাঁকিয়েছে ধোনির দল। এক্ষেত্রে কোনও একটি মরশুমে কোনও দলের সর্বাধিক ছক্কা মারার রেকর্ড গড়েছে চেন্নাই। ২০১৬-তে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে টপকে এই নয়া রেকর্ড গড়েছে চেন্নাই।
২০১৬-তে বেঙ্গালুরু হাঁকিয়েছিল মোট ১৪২ ছক্কা। ওভার বাউন্ডারির দৌড়ে দলের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলির। ২০১৬-র আইপিএলে রান মেশিন কোহলি ৩৮ টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। কোনও এক ব্যাটসম্যানের আইপিএলের কোনও একটি মরশুমে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড কোহলির দখলেই রয়েছে। ওই মরশুমে এবি ডিভিলিয়ার্স ৩৭ এবং ক্রিস গেইল ২১ টি ছক্কা মেরেছিলেন।


ওয়াটসন এই মরশুমে ব্যক্তিগত সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ডের ক্ষেত্রে কোহলিকে টপকাতে পারেননি। তাঁকে থামতে হল খুব কাছেই। এবারের আইপিএলে তিনি মেরেছেন ৩৫ টি ছক্কা। এছাড়াও অম্বাতি রায়ডু ৩৪ এবং ধোনি ৩০ টি ছক্কা মেরেছেন। সুরেশ রায়না ১২ এবং ডোয়েন ব্রাভো ১০ টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন।
দলগত ভাবে একটি মরশুমে সবচেয়ে বেশি ছয় মারার তালিকায় তৃতীয় স্থানে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এই মরশুমে তাদের ওভার বাউন্ডারির সংখ্যা ১৩০। ২০১৪-তে ১২৭ ছক্কা হাঁকিয়ে চতুর্থ স্থানে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবএবং ২০১৫-তে মোট ১২০ ছক্কা সহ পঞ্চম স্থানে মুম্বই।