নয়াদিল্লি: এবি ডিভিলিয়ার্স। অনেকেই ক্রিকেটের সুপারম্যান তকমা দিয়েছে তাঁকে। চোটের কারণে চলতি আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে প্রথম দুটি ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। কিন্তু দলের তৃতীয় ম্যাচে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে খেলতে নেমে কঠিন পরিস্থিতিতে ৪৬ বলে ৮৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। দল হারলেও তাঁর ইনিংস নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। সোমবার পঞ্জাবের বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন কিনা, শেষমুহূর্ত পর্যন্ত অনিশ্চয়তা ছিল। কিন্তু মাঠে নেমে সেই সংহারমূর্তিতেই দেখা গেল তাঁকে। এই সাফল্যের রহস্য কী? এ নিয়ে স্বয়ং মুখ খুলেছেন এবি-ই। প্রত্যেক পুরুষের সাফল্যের পিছনে থাকে নারীর অবদান। এক্ষেত্রেও তাই। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ওই ইনিংস খেলার পর সাফল্যের পুরো কৃতিত্ব স্ত্রী ড্যানিয়েলেকে দিয়েছেন তিনি। সংশয় থেকে বেরিয়ে আসা এবং অনুপ্রেরণার সঞ্চারের জন্যই স্ত্রীকে কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি।


পঞ্জাবের ব্যাটিংয়ের সময় আরসিবি যখন ফিল্ডিং করছিল, তখন মাইক্রোফোনে ধরা হয় ডিভিলিয়ার্সকে। ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মঞ্জেরেকরের প্রশ্নের জবাবে ডিভিলিয়ার্স বলেন, ‘আমি নিজেই বিস্মিত। এটা অনেক বেশি মানসিক ব্যাপার ছিল। এমন নয় যে, তুমি রাতারাতি খারাপ খেলোয়াড় হয়ে যাবে। যে প্রতিবন্ধকতা ছিল তা হল আত্ম-সংশয়। যেটা বিগত কয়েকদিন ধরে আমার মনে ছিল। ম্যাচে নামার আগেও আমার মধ্যে সংশ্য় ছিল। তাই ম্যাচের আগে আমি আমার স্ত্রীকে ফোন করলাম। ও তখন আমার ছেলের পাশে ঘুমোচ্ছিল। আমি ওর পরামর্শ চাইতে ও কয়েক মিনিট পর ফোন করছে বলে জানাল।পরেও ফোনে আমার পাশেই দাঁড়াল এবং শান্ত থাকতে বলল। আরও বলল যে, ও আগামীকাল আসছে। আমার মনে হয় ওটাই অনুপ্রেরণা। আর মাঠে নেমে যা হল তাতে আমি নিজেই বিস্মিত। দারুন কয়েকটা শট খেলেছি’।

পঞ্জাবের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওভারে ব্যাট করতে নামেন এবি। প্রথমেই কয়েকটি উইকেট হারানোর পর চাপে ছিল আরসিবি। ওই অবস্থায় প্রথম দিকে একটু রক্ষণাত্মক থাকলেও পরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি।