কলকাতা: দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা এ দলের বিরুদ্ধে ঝকঝকে সেঞ্চুরি করলেন বাংলার ক্রিকেটার অভিমন্যু ঈশ্বরণ। তাঁর ও প্রিয়ঙ্ক পাঞ্চালের ইনিংস বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ভারতকে লড়াইয়ে রাখল। অভিমন্যু ১০৩ রান করে আউট হন। ভারতীয় এ দলের অধিনায়ক প্রিয়ঙ্ক পাঞ্চাল করেন ৯৬ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে ৫০৯/৭-এর জবাবে চারদিনের ম্যাচের তৃতীয় দিনের শেষে ভারত এ দলের স্কোর ৩০৮/৪। প্রোটিয়াদের চেয়ে ২০১ রানে পিছিয়ে ভারত।


উত্তরপ্রদেশে দেহরাদূন থেকে শুধু ক্রিকেটের টানে বাংলায় পাড়ি। স্থানীয় ক্রিকেটে নজরকাড়া পারফরম্য়ান্স। ৮ বছর আগে, অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লর আমলে, ইডেনে সেই উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধেই যখন বাংলার হয়ে তাঁর রঞ্জি অভিষেক হয়েছিল, বলা হয়েছিল, তিনি বিশেষ প্রতিভা।


পরের কয়েকবছর শুধুই উত্তরণের অভিজ্ঞতা হয়েছিল অভিমন্যু ঈশ্বরণের (Abhimanyu Easwaran)। বাংলার হয়ে ধারাবাহিকতা। ভারতীয় এ দলে জায়গা করে নেওয়া। বাংলা দলের নেতৃত্ব।


কিন্তু অভিমন্যু ঈশ্বরণের কেরিয়ারের পরের পর্বটা দেখলে মনে পড়ে যাবে যুবরাজ সিংহের সেই বিখ্যাত বিজ্ঞাপনের লাইন। যব তক বল্লা চলেগা, ঠাট হ্যায়। অভিমন্যুর ব্যাটেও রানের খরা শুরু হয়। নেমে আসে আঁধার। প্রথমে নেতৃত্ব হারাতে হয় অনুষ্টুপ মজুমদারের কাছে। পরে দল থেকেই বাদ পড়েন।


তবে বাংলার জার্সিতে ফের সফল হন এই মরসুমে। কর্নাটকের বিরুদ্ধে সদ্যসমাপ্ত সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি ট্রফির মরণ-বাঁচন ম্যাচে জ্বলে উঠেছিল তাঁর ব্যাট। যা কি না আবার এমন একটা ফর্ম্যাট, যেখানে তাঁকে অচল বলে মনে করা হতো। আইপিএলের নিলামে তাঁকে নিয়ে কেউ আগ্রহ দেখিয়েছে বলে শোনা যায় না। সেই অভিমন্যুই প্রবল চাপের মুখে সামলেছিলেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ-কে গৌতম সমৃদ্ধ বোলিং লাইন আপকে। ৪৯ বলে ৫১ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন ছাব্বিশের ডানহাতি ব্যাটার।


খারাপ সময় কাটিয়ে ওঠার নেপথ্যে অভিমন্যু কৃতিত্ব দিচ্ছেন ব্যক্তিগত কোচ অপূর্ব দেশাইকে। 'রান না পেলে স্যারের সঙ্গে কথা বলি। ধ্যান করি। পরিবার সব সময় পাশে থাকে। দল থেকে যখন বাদ পড়েছিলাম, নিজেকে ব্যস্ত রাখতাম। একা থাকলে চিন্তা বাড়ে। নেতিবাচক হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই আড্ডা মারি, প্লে স্টেশন খেলি, ওয়েব সিরিজ দেখি। সেভাবেই চাপ কাটিয়ে পারফর্ম করেছি,' বলেছিলেন আত্মবিশ্বাসী অভিমন্যু।