মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান:  অবহেলা, অনাদরে পড়ে সিধো-কানহোর মূর্তি। কাঁকসার দেউল পার্কে সাঁওতাল বিদ্রোহের দুই বীর নেতার মূর্তি এভাবে পড়ে থাকায় তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। দ্রুত মূর্তি সংস্কারের আশ্বাস দিয়েছে কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতি। এ নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি।


সাঁওতাল বিদ্রোহের দুই বীর যোদ্ধা, সিধো-কানহো। শ্রদ্ধা জানাতে, ঘটা করে তাঁদের মূর্তি স্থাপিত হয়েছিল পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় দেউল পার্কে। কিন্তু এখন সেই মূর্তিই এখন পড়ে অবহেলায়। চটেছে রং। ফাটল ধরেছে মূর্তিতে। স্থানীয় আদিবাসীদের অভিযোগ, পাঁচ বছর ধরে সংস্কার হয়নি।


দীর্ঘদিন সিধো-কানহোর মূর্তি সংস্কার না হওয়ায় আঙুল উঠেছে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির দিকে। পশ্চিম বর্ধমানে কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ প্রবোধ মুখোপাধ্যায় বলেন, ''আগে কিছু আইনি জটিলতা থাকায় করা যায়নি। দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।''


এ নিয়েও কাটমানির খোঁচা দিয়েছে বিজেপি। পশ্চিম বর্ধমানের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত বলেন, ''মুখ্যমন্ত্রী যখন বীর যোদ্ধাদের সম্মান দেন। তাহলে এখানে কেন অনাদর। কাটমানি নেই বলেই এই অবস্থা?''


বর্তমানে পার্কটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা। তাদের আশ্বাস, দ্রুত মূর্তি সংস্কার হবে। পার্ক পরিচালনকারী সংস্থার ম্যানেজার সোমনাথ হাজরা বলেন, ''প্রত্যেক বছর শীতের মরসুমে। তার আগে রং করা হয়। মূর্তি দুটোও সংস্কার করব। ১৫-২০ দিনের মধ্যে করব।''


প্রতি বছর শীতে অসংখ্য পর্যটক আসেন দেউল পার্কে। হয় পিকনিক। তবু কেন এমন হাল মূর্তির। প্রশ্ন আদিবাসী সমাজের।


এদিকে পশ্চিম বর্ধমানে অন্য একটি ঘটনায়, ঝাড়খণ্ড (Jharkhand) থেকে মামার বাড়ি বেড়াতে এসে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গেল কিশোর। ঘটনায় আতঙ্ক দুর্গাপুরের (Durgapur) মায়াবাজারে (Mayabazar)। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে নিখোঁজ কিশোরের খোঁজ চলছে। জানিয়েছেন, দুর্গাপুর(Durgapur)-আসানসোল কমিশনারেটের ডিসি।


আরও পড়ুন: টিফিন খেতে বেরোচ্ছিলেন ব্যবসায়ী, ধেয়ে এল গুলি, তারপর ...