কলকাতা: তাঁর প্রতিভা দেখে বাংলার নির্বাচকমণ্ডলী থেকে শুরু করে প্রাক্তন ক্রিকেটার, সকলেই বেশ প্রভাবিত হয়েছিলেন। ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সঙ্গেও স্ট্যান্ড বাই হিসাবে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে ছিলেন। বলাবলি হচ্ছিল, ঋদ্ধিমান সাহার পর বাংলা দলে উইকেটকিপার-ব্যাটারের জায়গা নিতে তৈরি তরুণ অভিষেক পোড়েল (Abishek Porel)।


রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) প্রথম ম্যাচে নিজের প্রতিভার প্রতি সুবিচার করলেন অভিষেক। বঢোদরার বিরুদ্ধে কোণঠাসা অবস্থা থেকে বাংলাকে ম্যাচ জেতালেন চন্দননগরের তরুণ। তাঁর ডাকাবুকো হাফসেঞ্চুরি আর শাহবাজ আমেদের (Shahbaz Ahmed) সঙ্গে ১৩৪ বলে ১০৮ রানের পার্টনারশিপ প্রথম ইনিংসে ৮৮ অল আউট হয়ে যাওয়া বাংলাকে অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচ জেতাল। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৭০ বলে ৫৩ রান করে অপারিজত রইলেন অভিষেক।


ক্রুণাল পাণ্ড্যর বঢোদরাকে নাটকীয় ম্যাচে ৪ উইকেটে হারানোর পর অভিষেককে নিয়ে মুগ্ধ বাংলার সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী (Sourasish Lahiri)। কটক থেকে ফোনে বললেন, 'অসাধারণ ইনিংস খেলেছে অভিষেক। ও লম্বা দৌড়ের ঘোড়া।' যোগ করলেন, 'ও যখন ক্রিজে নেমেছিল, মনোজ তিওয়ারি ফিরে গিয়েছে। সেই মনোজ, যে বাংলার সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। আমাদের স্কোর ছিল ২৪২/৬। জেতার জন্য তখনও একশোর ওপর রানের প্রয়োজন ছিল। ক্রিজে গিয়ে প্রথম চার বলের মধ্যে তিনটি বাউন্ডারি মারে অভিষেক। তাতেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। ওইরকম চাপের মুখে ওই তিনটি শটই ওর চারিত্রিক দৃঢ়তা প্রমাণ করে।'


ম্য়াচ জেতানো হাফসেঞ্চুরি করে অভিষেক বলছেন, 'ক্রিজে যাওয়ার পরই শাহবাজদা বলেছিল, চাপ নিস না। ঠিক ম্যাচ বার করে দেব। সেই কথায় আত্মবিশ্বাস বেড়েছিল। প্রথম চার বলের মধ্যে তিনটি বাউন্ডারি মারার পরই বিশ্বাস তৈরি হয় যে, আমরা পারব।'


ম্যাচের পর অভিনন্দনবার্তায় ভাসছেন চন্দননগরের বাঁহাতি ব্যাটার। অভিষেকের মঞ্চেই নায়ক হওয়ার অনুভূতি কীরকম? অভিষেক বলছেন, 'দারুণ অনুভূতি। মনোজদার হাত থেকে বাংলার ক্যাপ নেওয়াটা ভুলব না। ওই টুপি আমি আজীবন স্মারক হিসাবে রেখে দেব।'


সৌরভের আশ্বাস সত্ত্বেও বাদ, অবসর নিতে বলেছিলেন দ্রাবিড়! বিস্ফোরক ঋদ্ধিমান