কলকাতা: অপেক্ষা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। ১৯৮৯-৯০ সালে শেষবার রঞ্জি ট্রফি (Ranji Trophy) জিতেছিল বাংলা (Bengal Cricket Team)। মাঝের ৩২ বছরে তিনবার ফাইনালে উঠলেও প্রত্য়েকবার ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। এবার কি ভাগ্যের চাকা বদলাবে?


বৃহস্পতিবার কটকে রঞ্জি ট্রফি অভিযান শুরু করছে বাংলা। প্রতিপক্ষ, ক্রুণাল পাণ্ড্যর (Krunal Pandya) বঢোদরা। প্রথম ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসী বাংলার কোচ অরুণ লাল। বলে দিচ্ছেন, 'আমাদের দলে অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের দারুণ সংমিশ্রণ। শেষবার রঞ্জি ট্রফিতে ফাইনাল খেলেছিলাম। ট্রফি পাইনি। এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই নামছি।'


বাংলার হয়ে রঞ্জি অভিষেক হতে চলেছে অভিষেক পোড়েলের। ঋদ্ধিমান সাহা বাংলা দলে নেই। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন। ঘনিষ্ঠমহলে তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় টেস্ট দলে নিজের আর সেরকম সম্ভাবনা দেখছেন না বলেই রঞ্জি না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর পরিবর্তে রঞ্জি অভিষেক হতে চলেছে চন্দননগরের উইকেটকিপার অভিষেকের। যিনি আবার ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জেতা পেসার ঈশান পোড়েলের খুড়তুতো ভাই।


অরুণ লাল বলছেন, 'অভিষেক ভীষণ প্রতিভাবান। বঢোদরার বিরুদ্ধে ওর অভিষেক হবে। আমরা ওর দক্ষতায় আস্থা রাখছি।'


তিন পেসার ও দুই স্পিনারে দল সাজাচ্ছে বাংলা। ঈশান পোড়েল ও আকাশ দীপের সঙ্গে তৃতীয় পেসার মুকেশ কুমার। দুই স্পিনার ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় ও শাহবাজ আমেদ। বাংলার হয়ে ইনিংস ওপেন করবেন অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও সুদীপ ঘরামি। তিন থেকে ছয়ে সম্ভবত সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, মনোজ তিওয়ারি, অনুষ্টুপ মজুমদার ও অভিষেক।


অরুণ লাল বলছেন, 'উইকেট বেশ তরতাজা। খুব বেশি খেলা হয়নি। তবে আমাদের দলে সব বিভাগেই ভাল ক্রিকেটার রয়েছে। তাই সমস্যা হবে না।' গত মরসুমে করোনার প্রকোপে রঞ্জি ট্রফি হয়নি। এবার ফের শুরু হচ্ছে লাল বলের টুর্নামেন্ট। অরুণ লাল বলছেন, 'এর চেয়ে ভাল কিছু হয় না।'


অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে দুরন্ত পারফর্ম করে এলেও সম্ভবত প্রথম একাদশে জায়গা হচ্ছে না পেসার রবি কুমারের। আপাতত অপেক্ষা করতে হবে তাঁকে।