কলকাতা: বাংলা ক্রিকেটে শেষবার দেখা গিয়েছিল নব্বইয়ের দশকে। একসঙ্গে খেলেছিলেন দুই ভাই। সৌরভ (Sourav Ganguly) ও স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় (Snehasish Ganguly)।


তার প্রায় তিন দশক পর ফের বাংলার হয়ে রঞ্জিতে (Ranji Trophy) একসঙ্গে নামছেন দুই ভাই। ঈশান (Ishan Porel) ও অভিষেক পোড়েল (Abhishek Porel)। তফাত বলতে, সৌরভ ও স্নেহাশিসের মতো নয়, ঈশান ও অভিষেক খুড়তুতো ভাই। ঈশান আগেই বাংলার হয়ে খেলে নজর কেড়েছেন। বৃহস্পতিবার রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক হতে চলেছে অভিষেক পোড়েলের। ঈশান মিডিয়াম পেসার। অভিষেক উইকেটকিপার ব্যাটার।


বুধবার সন্ধ্যায় কটক থেকে মোবাইল ফোনে এবিপি লাইভকে চন্দননগরের অভিষেক বললেন, 'একই বাড়ি থেকে দুজনে বাংলার হয়ে খেলছি, ভাল তো লাগছেই। ঈশানদা থাকায় আমি অনেক সহজ থাকতে পারছি। দুজনে একসঙ্গে রঞ্জি ট্রফি ম্যাচ খেলব ভেবে বেশ রোমাঞ্চিত।'


ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha) বাংলা দলে নেই। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন। ঘনিষ্ঠমহলে তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় টেস্ট দলে নিজের আর সেরকম সম্ভাবনা দেখছেন না বলেই রঞ্জি না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর পরিবর্তে রঞ্জি অভিষেক হতে চলেছে চন্দননগরের উইকেটকিপার অভিষেকের। যিনি ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জেতা পেসার ঈশান পোড়েলের খুড়তুতো ভাই।


বাংলার কোচ অরুণ লাল বলছেন, 'অভিষেক ভীষণ প্রতিভাবান। বঢোদরার বিরুদ্ধে ওর অভিষেক হবে। আমরা ওর দক্ষতায় আস্থা রাখছি।'


আর অভিষেক? বলছেন, 'ঋদ্ধিদার সঙ্গে কথা হয়নি। হলে নিশ্চয়ই উইকেটকিপিং নিয়ে পরামর্শ চাইব।' যোগ করছেন, 'বাংলা সিনিয়র দলে আমি নবাগত। তবে সিনিয়ররা আগলে রেখেছে। মনোজদা (Manoj Tiwari) ভীষণ সাহায্য করছে। উৎসাহ দিচ্ছে। তাছাড়া কোচ, অধিনায়ক, সকলেই খুব সাহায্য করছে। আমার ওপর আস্থা দেখানোয় আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। পাশাপাশি সেই আস্থার মর্যাদা রাখতে আমি বদ্ধপরিকর। মাঠে নিজের সেরাটা দেব।'


হার্দিক-ক্রুণালের বঢোদরার বিরুদ্ধেই পোড়েল ভাইদের পথ চলা শুরু। হার্দিক অবশ্য এই ম্যাচে খেলছেন না। ক্রুণাল খেলছেন। পাণ্ড্য ভাইদের রাজ্য দলের বিরুদ্ধেই কি পোড়েল ভাইদের নজর কাড়া শুরু?


ইডেনে চলতি টি-টোয়েন্টি সিরিজেই ফিরছে দর্শক