কলকাতা: প্রথম দিনের শেষে ছিল আশার আলো। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলে গেল সব কিছু। দ্বিতীয় দিনের শেষে বাংলা শিবিরে নিকশ কালো আঁধার।


বঢোদরার বিরুদ্ধে মাত্র ৮৮ রানে অল আউট হয়ে গেল বাংলা (Bengal vs Baroda)। রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) প্রথম ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলার ব্যাটিং। মাত্র ৩৪.৩ ওভারে শেষ হয়ে গেল বাংলা। সর্বোচ্চ স্কোর অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা অভিষেক পোড়েল ও নবাগত সুদীপ ঘরামির। দুজনই ২১ রান করে করেছেন।


লজ্জার বিপর্যয় দেখে ক্ষিপ্ত বাংলার কোচ। কটক থেকে মোবাইল ফোনে অরুণ লাল (Arun Lal) বললেন, 'মেরুদণ্ডহীন ব্যাটিং। এর কোনও ব্যাখা আমার কাছে নেই।' যোগ করলেন, 'হতে পারে মরসুমের প্রথম ম্যাচ বলে ব্যাটাররা চাপে ছিল। কিন্তু তাই বলে এই পারফরম্যান্স। মানসিকভাবে এত ভঙ্গুর হলে চলে নাকি!'


জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার ক্ষুব্ধ ব্যাটারদের আউট হওয়ার ধরন দেখে। অরুণ লাল বলছেন, 'যেভাবে ব্যাটাররা নিজেদের প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হল, আমার কিছু বলার নেই। কোনও অজুহাতই চলে না। পিচে কোনও জুজু ছিল না। ব্যাটিংয়ের এই ছবির আমার কাছে কোনও ব্যাখ্যা নেই।'


বাংলা শিবিরে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, একমাত্র অনুষ্টুপ মজুমদারের আউট নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৭ বলে কোনও রান না করে কট বিহাইন্ড হয়ে যান অনুষ্টুপ। তবে বাংলা শিবিরের দাবি, বল ব্যাটের অনেক দূর দিয়ে গিয়েছিল। আম্পায়ারারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে ফিরতে হয় অভিজ্ঞ ব্যাটারকে।


কিন্তু অন্যরা?


রঞ্জি ট্রফি খেলছেন রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি। শুক্রবার ক্রিজে তাঁর আয়ু ছিল ২ বল। পাঁচ নম্বরে নেমে কোনও রান না করেই অতীত শেঠের বলে বোল্ড হয়ে যান। অধিনায়ক তথা ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরণ ৪ রান করে ফেরেন। রান পাননি সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (১১), শাহবাজ আমেদ (২০), ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় (৯), আকাশ দীপ (০) ও মুকেশ কুমার (০)।


ক্ষুব্ধ অরুণ লালের হুঁশিয়ারি, 'মানসিকভাবে এরকম ভঙ্গুর হলে বাদ পড়তে হবে।' তবে ইতিবাচক থাকতে চান তিনি। বলছেন, 'ম্যাচের এখনও দুদিন বাকি। আমরা ২৩৭ রানে পিছিয়ে। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। তবে অসম্ভব নয়।'