সন্দীপ সরকার, কলকাতা: যে মাঠকে বরাবর ঘরোয়া ক্রিকেটে পেসারদের স্বর্গ মনে করা হয়, সেই লাহলিতে গতির আগুন ছোটালেন আকাশ দীপ। বাংলার পেসার ১৩ ওভারে ৬১ রানে নিলেন ৫ উইকেট। তাঁর দাপটে রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy) হরিয়ানার প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে গেল ১৬৩ রানে। দিনের আলো কমে আসায় এদিন আর বাংলাকে ব্যাট করতে নামতে হয়নি। কিন্তু বৃহস্পতিবার কি আদৌ ব্যাট করতে নামবে বাংলা? নাকি ফলো অন করানো হবে হরিয়ানাকে?


লাহলিতে বাংলা শিবিরে ফোন করে যা নির্যাস পাওয়া গেল, তাতে সাত পয়েন্টের জন্য মরিয়া বাংলা। আর সেই কারণেই ফলো অন করানোর জোর চিন্তাভাবনা চলছে। বাংলা প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৪১৯ রান। হরিয়ানার চেয়ে ২৫৬ রানে এগিয়ে বাংলা। কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল, অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারিরা চাইছেন, ফলো অন করিয়ে বিপক্ষকে আরেকবার অল আউট করার জন্য ঝাঁপাতে। যাতে বোনাস পয়েন্ট পাওয়া যায়।                                                                    


সবচেয়ে বড় কথা, এদিন হরিয়ানা ইনিংসের শেষে আর খেলা না হওয়ায়, বিশ্রাম নেওয়ার সময়ও পেয়ে যাচ্ছেন বোলাররা। যে কারণে বৃহস্পতিবার তরতাজা হয়ে মাঠে নামতে পারবেন আকাশ দীপ, ঈশান পোড়েলরা।                        


বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল বলছিলেন, 'আকাশ দারুণ বোলিং করেছে। পরিশ্রমের পুরস্কার পেয়েছে। ও, ঈশান, এরা প্রত্যেকে আমাদের তত্ত্বাবধানে সারা বছর পরিশ্রম করছে। যারা প্রথম একাদশে নেই, তারাও পরিশ্রম করছে। সব মিলিয়ে ভাল জায়গায় রয়েছে প্রত্যেকে।'                                                                         


প্রথম দিনেও চালকের আসনে ছিল বাংলা। দ্বিতীয় দিনেও চালকের আসনেই রইলেন মনোজ তিওয়ারিরা। তবে প্রথম দিনে ম্যাচের নায়ক ছিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার। দ্বিতীয় দিনে ম্যাচের নায়ক হলেন আকাশ দীপ। এদিন তিনি শিকার করলেন হরিয়ানার পাঁচটি উইকেট। মাত্র ১০০ রানের মধ্যেই নয়টি উইকেট হারিয়েছিল হরিয়ানা। যার মধ্যে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন আকাশ দীপ। দুই উইকেট ঈশানের। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মুকেশ কুমার ও প্রদীপ্ত প্রামাণিক। 


আরও পড়ুন: দাবায় তুলকালাম! অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিব্যেন্দুর