ট্রেন্টব্রিজ: ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ শুরু হওয়ার আগে প্রতিপক্ষের সেরা ব্যাটসম্যানের উদ্দেশে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখছেন মহম্মদ সিরাজ। বিরাট কোহলির অন্যতম সেরা পেস-অস্ত্র জানিয়ে দিচ্ছেন, জো রুটকে আউট করার মন্ত্র তাঁর রপ্ত।


নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পরাজয়ের হতাশা কাটিয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্য়াচের টেস্ট সিরিজ কেলতে নামছে ভারত। বুধবার থেকে শুরু হতে চলেছে প্রথম টেস্ট। ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ের সেরা ভরসা অধিনায়ক জো রুট। বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানকে বল করার কৌশল কী হবে?


ইংল্যান্ড রওনা হওয়ার আগে এবিপি লাইভকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে সিরাজ বলেছিলেন, 'প্রত্যেক ব্যাটসম্যানের ভিডিও দেখি। তাদের শক্তি কী, কোথায় দুর্বলতা, তা নিয়ে পর্যালোচনা করি। জানি, ব্যাটসম্যানের দুর্বল জায়গায় বল করলে দলেরও লাভ, আমারও। পাশাপাশি ব্যাটসম্যান যে সমস্ত জায়গায় শট খেলতে স্বচ্ছন্দ, সেখানে বল দেওয়া উচিত না। আর রুটের কথা বললে বলতে পারি, কিছুদিন আগেই ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজে রুটকে আউট করেছি। ভিতরের দিকে ঢুকে আসা বলে রুটের দুর্বলতা রয়েছে। রুটকে তাই ইনসুইঙ্গিং ডেলিভারি করতে হবে।'



সিরিজ শুরুর আগে থেকেই চর্চায় সিরাজ। নেটে তাঁর বলে মাথায় আঘাত পেয়ে প্রথম টেস্ট থেকে ছিটকে গিয়েছেন ময়ঙ্ক অগ্রবাল। প্রথম একাদশে সুযোগ পেলে ইংল্যান্ডের পিচে বল করার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান। সিরাজ বলছেন, 'অস্ট্রেলিয়ার পিচে গতি ও বাউন্স ছিল। তাই আমি ব্যাক অফ গুড লেংথে বল করেছিলাম। তাতেই সাফল্য পেয়েছি। ২০১৮ সালে ইন্ডিয়া এ-র হয়ে ইংল্যান্ডে গিয়েছিলাম। দুটো ম্যাচ খেলেছিলাম। ওখানে লাইন-লেংথ অ্যাডজাস্ট করতে হয়েছিল। ৬-৮ মিটারের মধ্যে বল করতে হচ্ছিল। ইংল্যান্ডের মাটিতে ব্যাটসম্যানকে যত সামনের পায়ে খেলানোর প্রলোভন দেখাব, তত উইকেট তোলার সম্ভাবনা বাড়বে।'


আইপিএল অর্ধসমাপ্ত। তবে যে'কটা ম্যাচ হয়েছিল, তাতে নজর কেড়েছিল ডেথ ওভারে সিরাজের দুরন্ত বোলিং। প্রাক্তন ক্রিকেটারেরা প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কী পরিবর্তন এনেছেন বোলিংয়ে? সিরাজ বলেছিলেন, 'আমি একটাই লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামি। সুযোগ পেয়েছি আর সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। আগে খেলতে নেমে একটু নার্ভাস থাকতাম। তবে ম্যাচ খেলতে খেলতে সেটা কেটে গিয়েছে। এখন আমি অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ খেলে নিজের লাইন-লেংথকে অভ্রান্ত করে তুলেছি। তারই সুফল পাচ্ছি। ইংল্যান্ডেও সেই ছন্দ বজায় রাখাই লক্ষ্য। আর সিনিয়র ক্রিকেটারেরা প্রশংসা করলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে।'



অধিনায়ক বিরাট কোহলি ফিটনেসকে অসম্ভব গুরুত্বহ দেন। সিরাজও সেই মন্ত্রে দীক্ষিত। বলেছিলেন, 'ফিটনেস নিয়ে ভীষণ পরিশ্রম করি। জিমে অনেকটা করে সময় কাটাই। পেসারদের ফিটনেস ধরে রাখাটা খুব জরুরি। পাশাপাশি টেস্ট ম্যাচ খেলাটা খুব একটা সহজ নয়। লম্বা স্পেলে বল করতে হয়। দীর্ঘক্ষণ মাঠে ফিল্ডিং করতে হয়। তাই ফিটনেস ধরে রাখা ও শরীরের নমনীয়তা বজায় রাখায় বিশেষ গুরুত্ব দিই।'


জো রুটরা শুনতে পাচ্ছেন?