দেহরাদুন: বয়স মাত্র ২০ বছর। কিন্তু এরমধ্যেই বিশ্বের তাবড় তাবড় প্লেয়ারদের কালঘাম ছুটিয়ে দিয়েছেন তিনি। টমাস কাপ (Thomas Cup) জিতেছিলেন কিছুদিন আগেই। এবার কমনওয়েলথ গেমসে(Commonwealth Games 2022) পুরুষদের সিঙ্গলসে সোনা জয় লক্ষ্য সেনের। উত্তরাখণ্ডের আলমোড়ার পাহাড়ি পরিবেশে বেড়ে ওঠা লক্ষ্যর ব্যাডমিন্টন কেরিয়ারে সাফল্যের পেছনে তাঁর বাবা ডি কে সেনের ভূমিকা বিশাল। বাবার অ্যাকাডেমিতেই ব্যাডমিন্টনে হাতেখড়ি হয়েছিল লক্ষ্যর। ছেলের সোনা জয়ের আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে নিলেও, আবেগে গা ভাসাতে নারাজ বরাবরের কড়া কোচ হিসেবে পরিচিত ডি কে সেন। সুদূর আলমোড়া থেকেই ফোনে এবিপি লাইভের সঙ্গে কথা বললেন -


ছেলের প্রথম সোনা জয় কমনওয়েলথ গেমসে, কী বলবেন?


লক্ষ্যর বাবা: লক্ষ্য এখন দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে। টমাস কাপ জেতার পর থেকেই কমনওয়েলথের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল। যদিও কাঁধে চোট পাওয়ায় কিছুটা চিন্তিতও ছিল ও। কিন্তু নিজের ওপর আস্থা রাখতে বলেছিলাম ওকে। আমি আলাদা করে কোনও চাপ দিতে চাইনি ওর মধ্যে। রোজ ৮-৯ ঘণ্টা করে কঠোর অনুশীলনের মধ্যে ছিল। এছাড়াও খাওয়ার, ডায়েটের দিকেও নজর ছিল। ফিটনেস একটা বিরাট ইস্যু এখনকার দিনে। সেখানে কোনও আপোস করেনি ও। কমনওয়েলথে সোনা জয়ের থেকে বড় তো আর কিছু হতেই পারে না। তবে শুধু আমাদের পরিবারের না, গোটা দেশের জন্য গর্বের মুহূর্ত। কারণ এবার কমনওয়েলথ থেকে প্রচুর সোনা এসেছে।


ফাইনালে প্রথম গেম হারের পর চিন্তিত হয়েছিলেন?


লক্ষ্যর বাবা: দেখুন আমি একজন পেশাদার কোচ। ফাইনালে ২ জন খেললে একজন হারবেই। আমি লক্ষ্যকে বুঝিয়েছিলাম যে নিজের সহজাত খেলাটাই যেন ও খেলে। আর শুধু তো বাবা নই, আমি ওর কোচও। ছোট থেকেই ওকে দেখছি, ভীষণ জেদি। লড়াকু মানসিকতা বরাবর। আমি নিশ্চিত ছিলাম যে ও ঘুরে দাঁড়াবেই।


কমনওয়েলথ আসার আগে কী বলেছিলেন ছেলেকে? 


লক্ষ্য সেনের বাবা: বার্মিংহাম উড়ে যাওয়ার আগে বেঙ্গালুরুতে অনুশীলন সেরেছিল লক্ষ্য। অ্যাকাডেমির ২ জন ডায়েটিশিয়ানও ওর যাবতীয় খেয়াল রেখেছে। ওর বয়স কম। এরমধ্যেই অনেক কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বীতার মধ্যে ওকে পড়তে হয়েছে। যা লক্ষ্যকে মানসিকভাবে আরও শক্ত করে তুলেছে। তাই আমাকে কিছু বলতে হয়নি আলাদা করে।


ছেলে কবে ফিরছে? কী পরিকল্পনা রয়েছে?


লক্ষ্য সেনের বাবা: ও কাল নামছে। নন ভেজের মধ্যে চিকেন, মাটন তো রয়েইছে। নিরামিষের মধ্যে বাড়িতে মায়ের হাতের ভেন্ডি সবজি খেতে খুব ভালবাসে। ও আসুক, এরপর কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া হবে। তবে এখনও কিছু ভাবনাচিন্তা হয়নি।


আরও পড়ুন: ৩৮-এও ভারতসেরা সুনীলই, সেরা মহিলা ফুটবলার নির্বাচিত হলেন মনীষা