সন্দীপ সরকার, কলকাতা: কলকাতা নাইট রাইডার্সের ইতিহাসে তাঁর নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মনবিন্দর বিসলা (Manvinder Bisla)। কেকেআরের (KKR) প্রথম আইপিএল (IPL) ট্রফি জয়ের নায়ক। সেই বিসলা শুরু করতে চলেছেন নতুন ইনিংস।


সাল ২০১২। চেন্নাই সুপার কিংসকে (CSK) তাদের ডেরায় গিয়ে হারিয়ে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কেকেআর। তারপর ট্রফি নিয়ে কলকাতায় ফিরে শাহরুখ খানের (Shahrukh Khan) উৎসবের ছবি এখনও ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে টাটকা।


শাহরুখ-জুহি চাওলার দলকে প্রথমবার আইপিএল জয়ের স্বাদ দিয়েছিল তাঁর চওড়া ব্যাট। এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের বিরুদ্ধে ফাইনালে তাঁর ৪৮ বলে ৮৯ রানের ইনিংস নিয়ে এখনও চর্চা হয়। সেই মনবিন্দর বিসলা ক্রিকেটকে নীরবে বিদায় জানিয়েছেন। এবার কোচ হিসাবে ফের ক্রিকেট মাঠে ফিরছেন তিনি।


গুরগাঁওয়ে নিজের অ্যাকাডেমি তৈরি করেছেন ৩৭ বছরের সদ্যপ্রাক্তন ক্রিকেটার। ১ সেপ্টেম্বর যে অ্যাকাডেমির পথ চলা শুরু হবে। গুরগাঁও সেক্টর ২৩-এ স্যুইস কটেজ স্কুলে উদ্বোধনের অপেক্ষায় মনবিন্দর বিসলা ক্রিকেট অ্যাকাডেমি। গুরগাঁও থেকে মোবাইল ফোনে এবিপি লাইভকে বিসলা বললেন, 'ক্রিকেট থেকে অনেক কিছু পেয়েছি। এবার ক্রিকেটকে কিছু ফিরিয়ে দিতে চাই।'


কেমন হবে অ্যাকাডেমিতে খুদে ক্রিকেটারদের প্রস্তুতির নকশা? বিসলা বলছেন, 'ক্রিকেটের পাশাপাশি শরীরচর্চাতেও জোর দেওয়া হবে। আলাদা স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচ নিয়োগ করা হচ্ছে। চারটি পর্বে উঠতি ক্রিকেটারদের তালিম দেওয়া হবে। শারীরিক, মানসিক, ক্রিকেটীয় দক্ষতা আর পরিশ্রমক্ষমতা, সবেতেই জোর দেওয়া হবে। কোচ হিসাবে আমি তো থাকছিই। সঙ্গে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা কয়েকজনকেও কোচ হিসাবে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।'


আধুনিক ক্রিকেটের শর্ত মেনে ভিডিও অ্যানালিস্টও থাকবে অ্যাকাডেমিতে। বিসলা বলছেন, 'ভিডিও বিশ্লেষণ করা হবে নিয়মিত। ভিডিও দেখিয়ে কোনও ক্রিকেটারকে বোঝালে তা অনেক বড় পার্থক্য গড়ে দেয়। তাই এ ব্যাপারে জোর দেওয়া হবে। বিশেষজ্ঞরা থাকবেন।'


ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর ভারতীয় বোর্ডের তত্ত্বাবধানে লেভেল ওয়ান কোচিং কোর্স করেছেন বিসলা। বলছেন, 'আমি গুরগাঁওতে কোচিং করাচ্ছি কিছুদিন। পাশাপাশি ধারাভাষ্যকার হিসাবেও একটি সম্প্রচারকারী চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত। তাই ক্রিকেটের মধ্যেই রয়েছি।'


কোচ হিসাবে স্বপ্ন কী? বিসলা বলছেন, 'সকলেই চায় জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেলতে। আমি সেটা পারিনি। চাইব আমার অ্য়াকাডেমির কেউ সেই অপূর্ণ স্বপ্ন পূরণ করুক। জাতীয় দলের হয়ে খেলার স্বপ্ন সকলে দেখে। দেশের হাজার হাজার ক্রিকেটার একই লক্ষ্যে খেলে। সুযোগ পায় সামান্য কয়েকজন। ছেলেদের সেই ভাবেই তৈরি করতে চাই, যাতে সেই অল্প কয়েকজনের মধ্যে জায়গা করে নিতে পারে।'


আরও পড়ুন: শৃঙ্গজয়ের ৩ মাস পর পেলেন সার্টিফিকেট, স্বস্তি পেলেও এভারেস্টজয়ী পিয়ালির কাঁটা ঋণের বোঝা