সন্দীপ সরকার, কলকাতা: তিনি বাংলার 'ক্রাইসিস ম্যান'। গত কয়েক মরসুম ধরে যখনই বাংলার (Bengal Ranji Team) ব্যাটিং চাপে পড়েছে, তিনি উদ্ধারকর্তা হয়ে হাজির হয়েছেন। টেল এন্ডারদের নিয়ে ইনিংসকে টেনেছেন।


যার অন্যথা হল না রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালেও। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে লড়াকু ৮১ রান করলেন শাহবাজ আমেদ (Shahbaz Ahmed)। ১২০ বলের ইনিংসে ৯টি চার ও জোড়া ছক্কা। বাঁহাতি ব্যাটারই বাংলার সর্বোচ্চ স্কোরার।


শাহবাজের ব্যাটিং বিক্রমে বাংলা প্রথম ইনিংসে তুলল ৩২৮ রান। ঝাড়খণ্ডের চেয়ে ১৫৫ রানের লিড নিল বাংলা (Ben vs Jha)। সেই সঙ্গে সেমিফাইনালের দিকে আরও এক কদম এগিয়ে গেলেন মনোজ তিওয়ারিরা।


বুধবার, দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় বাংলার স্কোর ছিল ২৩৮/৫। ১৭ রানে ক্রিজে ছিলেন শাহবাজ। যিনি ভারতের ওয়ান ডে দলে ছিলেন বলে ওড়িশার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে খেলতে পারেননি। কোয়ার্টার ফাইনালে ফিরেছেন। আর সদর্পে ফিরেছেন।                                     


বৃহস্পতিবার আরও ৬৪ রান যোগ করলেন বাঁহাতি ক্রিকেটার। দ্বিতীয় দিন তাঁর সঙ্গেই ক্রিজে ছিলেন উইকেটকিপার অভিষেক পোড়েল। ২৫ রানে। কিন্তু আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে ৮ রান যোগ করেই ফেরেন চন্দননগরের ক্রিকেটার। ৫২ বলে ৩৩ রান করে। অভিষেক ফিরলেও, দমেননি শাহবাজ। তিনি ব্যাট করতে থাকেন একই ছন্দে। অভিষেক ফেরার পর শাহবাজের সঙ্গে যোগ দেন আকাশ ঘটক। ৪৯ বলে ১২ রান করেন আকাশ।           


যদিও আকাশ দীপ ও মুকেশ কুমার রান পাননি। দুজনই ১ রান করে ফেরেন। তবে অন্য প্রান্তে শাহবাজ ছিলেন আগ্রাসী মেজাজে। শেষ পর্যন্ত শাহবাজের জন্যই তিনশোর স্কোর পেরিয়ে যায় বাংলা। ১০৮ ওভারে ৩২৮ রানে শেষ হয় বাংলার প্রথম ইনিংস। ঝাড়খণ্ডের চেয়ে ১৫৫ রানে এগিয়ে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দুই উইকেট হারিয়ে বসেছে ঝাড়খণ্ড। দুই উইকেটই নিয়েছেন আকাশ দীপ। বাংলার পেসার রয়েচেন দুরন্ত ছন্দে। এখান থেকে ম্যাচ বাঁচানোই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বিরাট সিংহদের।                                            


আরও পড়ুন: পেনাল্টি নষ্টের পর আহত হয়ে মাঠ ছাড়লেন এমবাপে, গোল পেলেন মেসি, মঁপেলিয়েরকে হারাল পিএসজি