প্যারিস: মঁপেলিয়ের ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে লিগ ওয়ানের শীর্ষে নিজেদের দখল মজবুত করল প্যারিস সঁ জরমঁ (Paris Saint-Germain)। তবে ম্যাচ জিতলেও পিএসজির চিন্তা বাড়লই। ম্যাচের প্রথমার্ধেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হলেন ফরাসি দলের তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে (Kylian Mbappe)। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই আরেক তারকা পিএসজি ফুটবলার সার্জিও রামোসও চোট পেয়ে মাঠের বাইরে বেরিয়ে যান।
দ্বিতীয়ার্ধে তিন গোল
এদিন গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ৫৫ মিনিটের মাথায় ফ্যাবিয়ান রুইজের গোলে এগিয়ে যায় পিএসজি। ৭২ মিনিটে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi) ৮৯ মিনিটে মঁপেলিয়ের হয়ে নরডিন এক গোল করে লিড অর্ধেক করেন বটে। তবে ম্যাচ শেষের আগে, ওয়ারেন জারি-এমরি ৯২ মিনিটে ম্যাচের শেষ গোলটি করেন। ৩-১ জয় পায় পিএসজি। মাত্র ১৬ বছর বয়সে গোল করে জারি-এমরি পিএসজির সর্বকালের কণিষ্ঠতম গোলদাতা হওয়ার কৃতিত্ব নিজের নামে করেন।
এমবাপের পেনাল্টি নষ্ট
তবে প্রথমার্ধেই ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিল পিএসজি। ১০ মিনিটে পিএসজির পাওয়া পেনাল্টি নেন এমবাপে। তাঁর শট মঁপেলিয়ের গোলরক্ষক আটকে দেন। তবে এমবাপের শটের আগেই প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় পেনাল্টি বক্সে ঢুকে পড়ায় রেফারি পুনরায় পেনাল্টি নেওয়ার নির্দেশ দেন। সেক্ষেত্রেও এমবাপে জালে বল জড়াতে পারেননি। তাঁর শট পোস্টে লিগে ফিরে আসে। ফিরতি বলেও সঠিকভাবে সংযোগ ঘটাতে পারেননি ফরাসি তারকা। ফলে গোলের সুযোগ নষ্ট হয়। এরপর ম্যাচের ২১ মিনিটের মাথায় পেশিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন এমবাপে।
১৪ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬-র ম্য়াচে বায়ার্ন মিউনিখের মুখোমুখি হবে পিএসজি। সেই ম্যাচের আগে পিএসজির চাপ বেশ বাড়লই বটে। এমনিতেই নেমারও পেশির চোটে এই ম্যাচে খেলেননি। তারই মাঝে এমবাপে ও রামোসের চোট। বায়ার্ন ম্যাচের আগে পিএসজির তারকা ত্রয়ী সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে পারেন কি না, এবার সেইদিকেই নজর থাকবে। এই জয়ের সুবাজে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মার্সের থেকে পাঁচ পয়েন্টে এগিয়ে গেল লিগ শীর্ষে থাকা পিএসজি। ২১ ম্যাচের পর পিএসজির দখলে বর্তমানে ৫১ পয়েন্ট রয়েছে। মার্সের দখলে ৪৬ পয়েন্ট।
আরও পড়ুন: ৩৭ বছরের অপেক্ষার অবসান? কাশ্মীরে আয়োজিত হবে বিশ্বকাপের ম্যাচ?