মাসিয়াখালি: ২০১৯ সালে প্রথমবার দেখা পেয়েছিলেন স্বপ্নের নায়কের। বিশাখাপত্তনমের ভাইজাগে খেলা দেখতে গিয়ে। জড়িয়ে ধরেছিলেন নায়ককে। কিন্তু সেবার বেশি কথা হয়নি। সেই বছরই ইডেনে ফের সাক্ষাৎ। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোলাপি বলের টেস্ট খেলতে এসছিল টিম ইন্ডিয়া (team india)। বিরাট (virat kohli) ভক্ত পিন্টুও পৌঁছে গিয়েছিলেন শহরে। সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু গতকাল সন্ধের পর থেকেই কেমন যেন চুপ হয়ে গিয়েছেন ওড়িশার বছর ত্রিশের এই তরুণ। আচমকাই টেস্ট ক্রিকেটের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কোহলি। যা কোনোভাবেই মানতে পারছেন না পিন্টু। খাওয়া-দাওয়াও ভুলেছেন। কথা বলতে চাইছিলেন না একদমই। অনেক কষ্টে ধরা গেল ফোনে। এবিপি লাইভকে জানালেন নিজের আক্ষেপের কথা, নিজের স্বপ্নপূরণ না হওয়ার কথা।


সমর্থক তো অনেক ক্রিকেটারেরই হন। কিন্তু কাউকে এতটা ভালবেসে নিজের শরীরে বয়ে নিয়ে চলা? হ্যাঁ, বিরাট কোহলির ভক্ত ওড়িশার মাসিয়াখালি গ্রামের পিন্টু বেহরার গল্পটা তেমনই। সারা শরীরে প্রায় ১৫টি ট্যাটু। আর সবগুলোই বিরাটের ছবি। এতটাই ভালবাসেন তাঁকে। কখন পেলেন বিরাটের নেতৃত্ব ছাড়ার খবরটি? পিন্টু বলছেন, ''মেয়ের সঙ্গে তখন খেলছিলাম আমি। হঠাৎ মোবাইলে একটা নোটিফিকেশন আসে। দেখি বিরাট নেতৃত্ব ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। আমি বুঝতেই পারছি না কেন সব কিছু থেকে এভাবে পিছিয়ে আসছেন উনি। কিছু ভাল লাগছে না। মেয়েও বুঝতে পারছিল আমার কিছু একটা হয়েছে। মনটা খারাপ হয়ে গেল খবরটা জানতে পেরেই।''


বিশাখাপত্তনমে দেখা করেছিলেন বিরাটের সঙ্গে। তখনের স্মৃতি টেনে এনে ওড়িশার যুবক বলছেন, ''২০১৬ সাল থেকে আমি ট্যাটু বানিয়ে এসেছি বিরাটের। উনি আমার কাছে অনুপ্রেরণা। বিশাখাপত্তনমে দেখা করেছিলাম। উনি জড়িয়ে ধরতেই চোখে জল এসে গিয়েছিল আমার। বিরাট আমার সঙ্গে ছবি তুলে বলেছিল যে আবার আমাদের দেখা হবে। দেখা আবার হয়েছে। কিন্তু আমার একটা স্বপ্ন ছিল। বিরাটের নেতৃত্বে ভারত কোনও আইসিসি টুর্নামেন্ট জিতুক। সেই স্বপ্নটা অধরাই রয়ে গেল। কিছু ভাল লাগছে না।''


বিরাটের বিভিন্ন ট্যাটুর মধ্যে যেমন প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের নানা অভিব্যক্তি ফুটে উঠেছে, তেমনই কোহলি যে অর্জুন ও মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার পেয়েছেন, সেসবও শরীরে খোদাই করে রেখেছেন এই তরুণ। আইসিসি ট্রফি ক্যাপ্টেন হিসেবে যেমন আর বিরাটের হাতে উঠবে না কখনও, তেমনই পিন্টুর স্বপ্নও সত্যি হবে না। তবে কোনওদিন বিরাটের সঙ্গে দেখা করে ২ মিনিট কথা বলতে চান। ফোন রাখার আগে এই ইচ্ছের কথাই শোনালেন 'বিরাট' ফ্যান।