ব্রিসবেন: ২০২০-২১ মরশুমে গাব্বায় ভারতীয় দলের টেস্ট ম্যাচ জয় ইতিহাসের পাতায় লেখা রয়েছে। গাব্বা, যেই মাঠকে অজি ক্রিকেটের দূর্গ মানা হয়, সেখানে রাহানের ভারত হারিয়ে দিয়েছিল কামিন্স ব্রিগেডকে। আবার গাব্বায় দর্পচূর্ণ হল অজিদের। তাও এবার গোলাপি বলের টেস্টে। এবার প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। পিঙ্ক বল টেস্টে এর আগে একবারও ম্যাচ হারেনি অজিরা। এই প্রথমবার হার, তাও আবার অপেক্ষাকৃত দুর্বল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। 


ম্যাচে ধারাভাষ্যকার হিসেবে ছিলেন ব্রায়ান লারা ও অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। ২ দলের ২ কিংবদন্তি ক্রিকেটার। লারার সময়ের ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ছিল বিশ্বের অন্যতম সেরা দল। কিন্তু গত কয়েক বছরে দলের পারফরম্যান্স গ্রাফ এতটাই নীচে নেমেছে যে পুরনো ক্যারিবিয়ান সাম্রাজ্যের সঙ্গে তুলনাই করা যায় না। এই নিয়ে বারবার দুঃখ প্রকাশও করতে দেখা গিয়েছে ত্রিনিদাদের রাজপুত্রকে। সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজও এদিন অস্ট্রেলিয়াকে তাদেরই ঘরের মাঠে এক প্রকার উড়িয়ে দিল। আবেগ ধরে রাখতে পারেননি লারা। কমেন্ট্রি বক্সেই কেঁদে ফেলেছিলেন। তবে পরের মুহূর্তের ছবিটা যেন আজকের মাঠের বাইরের অন্যতম সেরা ছবি হয়ে থাকবে। লারাকে জড়িয়ে ধরলেন গিলক্রিস্ট। দেখে কে বলবে যে কিছুক্ষণ আগেই তাঁর দেশকে ঘরের মাঠে লজ্জার হার হারতে হয়েছে। 


 






গাব্বা টেস্টে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে অর্ধশতরান হাঁকান কাভেম হজ (৭১), জোশুয়া ডি সিলভা (৭৯) ও কেভিন সিনক্লেয়ার (৫০)। মোট ৩১১ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রান বোর্ডে তুলে নেয়। কিন্তু হাতে এক উইকেট থাকা সত্ত্বেও ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দিয়েছিলেন কামিন্স। উসমান খোয়াজা (৭৫), অ্যালেক্স ক্য়ারে (৬৫) ও প্য়াট কামিন্স (৬৪) ব্য়াট হাতে অবদান রাখেন। আলজারি জোসেফ চার উইকেট ও কেমার রোচ নেন তিন উইকেট।


ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ১৯৩ রানে। জশ হ্য়াজেলউড ও ন্য়াথান লিয়ঁ তুলে নেন তিন উইকেট করে। অজিদের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ২১৬ রানের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের শামার জোসেফ একাই ৭ উইকেট নিয়ে নেন। ২০৭ রানে শেষ হয়ে যায় অজিদের ইনিংস। একা লড়াই করে ৯১ রানে অপরাজিত থাকেন স্টিভ স্মিথ।