কাতার: ম্যাচের আগে বলেছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার রূপ নিয়ে তাদের দিকে একটা বড়সড় ঝড় ধেয়ে আসছে, যাকে আটকানোই হবে তাদের কাজ। শনিবার এএফসি এশিয়ান কাপের প্রথম ম্যাচে সেই ঝড় পুরোপুরি রুখতে না পারলেও অনেকক্ষণ তাকে ঠেকিয়ে রাখতে পেরেছিলেন সন্দেশ ঝিঙ্গন, শুভাশিস বোসরা। ফলে অস্ট্রেলিয়া এ দিন ২-০-য় ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে। ২০১১-র মতো চার গোলে হারতে হয়নি ভারতকে।


তাই এই ফলে যেমন খুশি নন ভারতীয় দলের ক্রোয়েশিয়ান কোচ ইগর স্টিমাচ, তেমন দলের ফুটবলারদের পারফরম্যান্সে তিনি খুশি। শনিবার ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ''অস্ট্রেলিয়া যেহেতু শারীরিক ভাবে এগিয়ে, তাই আমরা জানতাম এটা আমাদের পক্ষে একটা কঠিন ম্যাচ হতে চলেছে। ফল যা হয়েছে, তাতে খুশি হওয়ার কারণ নেই। কিন্তু সব মিলিয়ে অনেক ইতিবাচক দিক পাওয়া গিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া যে দুটো গোল করেছে, সেগুলো কিন্তু ওদের অসাধারণ খেলার ফল নয় বরং আমাদের দায়িত্বজ্ঞনহীনতায় ওরা এই গোলদুটো পায়।''


এদিন কাতারে আল রায়ানের আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে বিশ্বের ২৫ নম্বর ও এশিয়ার চার নম্বর দল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে অসাধারণ রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলে ভারত। ভয়ডরহীন ফুটবল বলতে যা বোঝায়, একেবারে তা-ই খেলেন সন্দেশ ঝিঙ্গনরা। অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে ঘন ঘন আক্রমণে ওঠার চেষ্টা না করে নিজেদের রক্ষণকে দুর্ভেদ্য করে তোলার পরিকল্পনা নিয়েই এ দিন নেমেছিলেন সুনীল ছেত্রীরা।


প্রথমার্ধে ও দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম পাঁচ মিনিট পর্যন্ত সেই চেষ্টা সফলও হয় তাঁদের। কিন্তু তার পরে ২৩ মিনিটের মধ্যে দুটি গোল খেয়ে যায় তারা। আরও গোল হতে পারত। তবে ভারতের দুর্দান্ত রক্ষণে অস্ট্রেলিয়াকে আরও বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিততে দেয়নি। তবে এই পারফরম্যান্স অবশ্যই ভারতের পরের দুই ম্যাচের জন্য আশা জিইয়ে রাখল।  


দলের পারফরম্যান্সে কেন তিনি খুশি, তার ব্যাখ্যা দিয়ে স্টিমাচ বলেন, “আমরা অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমার্ধে কোনও গোল করতে দিইনি, কোচ হিসেবে এটা আমার খুশি হওয়ার অন্যতম কারণ। প্রথমার্ধে আমরা একটাই ভাল সুযোগ পাই, সেটা বাইরে চলে যায়। আমরা তখন গোল পেতে পারতাম। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভাল খেলতে পারিনি। আসলে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতাই ওদের এক্ষেত্রে এগিয়ে রাখে। ওরা ভাল গেম রিডার। এই সব পরিস্থিতিতে ওদের প্রতিক্রিয়া অনেক ভাল হয়। বিশেষ করে সেকেন্ড বলের ক্ষেত্রে ওরা আমাদের খেলোয়াড়দের চেয়ে বেশি দক্ষ। যাই হোক, সব মিলিয়ে আমি খুশি। অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের কাছে হেরেছি। এ বার আমাদের পরের দুটো ম্যাচের দিকে তাকাতে হবে। এ বার আমাদের আসল প্রতিযোগিতা শুরু হবে।''     - তথ্য: আইএসএল মিডিয়া