কলকাতা: রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy) তাঁর দ্বিতীয় ম্যাচ। আর তার মধ্যেই মহম্মদ কাইফ (Mohammed Kaif) দেখিয়ে দিলেন যে, তিনি লম্বা দৌড়ের ঘোড়া হয়ে উঠতে পারেন। কানপুরের গ্রিন পার্কে উত্তর প্রদেশের প্রথম ইনিংসে বল হাতে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। নীতীশ রানাদের মাত্র ৬০ রানে অল আউট করে দেওয়ার নেপথ্যে অন্যতম কারিগর ছিলেন। শনিবার ব্যাট হাতেও নিজের প্রতিভার সাক্ষরক রাখলেন মহম্মদ শামির ভাই। ৭৯ বলে ৪৫ রানে অপরাজিত রইলেন। যা বাংলার প্রথম ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোর। তাঁর জন্যই বাংলা ১৮৮ রানে পৌঁছতে পারল। উত্তর প্রদেশের বিরুদ্ধে ১২২ রানের লিড নেয় বাংলা।
তবে মনোজ তিওয়ারিদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে পাল্টা লড়াই করছেন উত্তর প্রদেশের দুই ওপেনার সমর্থ সিংহ ও আরিয়ান জুয়েল। দুই ওপেনার মিলে মাত্র ১৮ ওভারে ৪৬ রান তুলে ফেলেছেন। দ্বিতীয় দিনের শেষে উত্তর প্রদেশের স্কোর ৪৬/০। ক্রিজে রয়েছেন সমর্থ সিংহ (২১ ব্যাটিং) ও আরিয়ান জুয়েল (২০ ব্যাটিং)। বাংলার লিড আর ৮২ রানের। নাটকীয় পরিসমাপ্তির দিকে এগোতে পারে ম্যাচ।
কানপুরের গ্রিন পার্কে সবুজ পিচে বাংলার বিরুদ্ধে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল উত্তর প্রদেশ। পিচকে মাঠের থেকে আলাদা করতে পারছেন না অনেকে। ভুবনেশ্বর কুমার এই ম্যাচ খেলেই লাল বলের ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ঘটালেন। দীর্ঘ ৬ বছর পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেললেন ভুবি। সঙ্গে অঙ্কিত রাজপুত, যশ দয়াল। উত্তর প্রদেশের রণকৌশল ছিল ঘাসের পিচে বাংলার ব্য়াটিং লাইন আপের পরীক্ষা নেওয়া। কিন্তু সেই কৌশল ব্যুমেরাং হয়ে ফেরে। টস হেরে যাওয়ায় কুয়াশা ভেজা পরিবেশে প্রথমে ব্যাট করতে হয়েছিল উত্তর প্রদেশকেই। এবং মাত্র ৬০ রানে অল আউট হয়ে যায় তারা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনের শেষে খুব একটা স্বস্তিতে ছিল না বাংলাও। ৯৫ রানে হারিয়েছিল ৫ উইকেট। ৫ উইকেটই নিয়েছিলেন ভুবি।
শনিবার, ম্যাচের দ্বিতীয় দিন বাংলার প্রথম ইনিংস শেষ হয় ১৮৮ রানে। ওপেনার শ্রেয়াংস ঘোষ ৪১ রান করেন। ৪৫ রানে অপরাজিত ছিলেন কাইফ। ভুবনেশ্বর ৪১ রানে নিয়েছেন ৮ উইকেট।
আরও পড়ুন: Avishek Das: ফাইনালে ভারতের স্বপ্নভঙ্গ ঘটানো বাঙালি ক্রিকেটার ৪ বছর মাঠের বাইরে! ২২ গজে ফিরবেন কবে?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে