ইন্দোর: হোলকার স্টেডিয়ামের মাঠ। ছোট মাঠ। ফ্ল্যাট পিচ। ম্যাচ শুরুর আগেই পিচ পরিদর্শনে এসে আকাশ চোপড়া জানিয়েছিলেন যে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিলে যত বেশি সম্ভব রান বোর্ডে তুলে নেওয়া যায় ততই ভাল। টস জিতলেন রোহিত শর্মা। কিন্তু ফিল্ডিং নিলেন। মুকেশ, অর্শদীপ বোলিং ওপেন করলেও প্রথম আঘাত হানলেন রবি বিষ্ণোই। তবে এদিন নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেন অক্ষর পটেল। ৩ উইকেট নিলেন অর্শদীপ। আফগানিস্তানের একমাত্র প্রাপ্তি গুলবদিনের নইবের অর্ধশতরান ও শেষের দিকে মুজিব উর রহমনের ক্যামিও ইনিংস। যার সুবাজে ১৭২ রান বোর্ডে তুলে ফেলল তারা।
আগেই ঠিক ছিল যে বিরাট কোহলি ফিরছেন এই ম্যাচে। সেই মত তিলক ভার্মার পরিবর্তে দলে ঢুকলেন কোহলি। ২০২২ নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই প্রথমবার টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্য়াচ খেলছেন কোহলি। অন্য়দিকে গিলের পরিবর্তে যশস্বী জয়সওয়ালকে একাদশে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আফগানিস্তানের হয়ে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন রহমনউল্লাহ গুরবাজ ও অধিনায়ক ইব্রাহিম জাদরান। প্রথম দুই ওভারে অর্শদীপ ও মুকেশ মিলে ২০ রান দেন। রোহিত আক্রমণে নিয়ে আসেন রবি বিষ্ণোইকে। প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নেন বিষ্ণোই। শিবম দুবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৪ রান করে ফিরে যান ক্রমশ বিপজ্জ্বনক হয়ে ওঠা গুরবাজ। ইব্রাহিম ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন অক্ষর পটেলের বলে। এরপর আজমাতউল্লাহ ২ রান করে শিবম দুবের বলে আউট হন। এদিন তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমেছিলেন গুলবদিন নইব। আফগানিস্তান শিবিরে কিছুটা অক্সিজেনের জোগান দেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। ২০১৫ সালে নিজের টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিলেন। আর এদিন কেরিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অর্ধশতরান হাঁকালেন। ৩৫ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন এদিন। নিজের ইনিংসে পাঁচটি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা হাঁকান গুলবদিন। শেষ পর্যন্ত রবি বিষ্ণোই তাঁকেও ফিরিয়ে দেন। নবি ১৪ রান করেন। নাজিবুল্লাহ জাদরান ২১ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলেন। ১টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান তিনি। করিম জানাত ও মুজিব উর রহমন মিলে দলের স্কোর দেড়শোর গণ্ডি পার করিয়ে দেন এরপর। মুজিব ৯ বলে ২১ রান করেন। ২ টো বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কা হাঁকান মুজিব।
অর্শদীপ সিংহ ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। তবে সবচেয়ে কৃপণ বোলিং করেন অক্ষর পটেল। ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তিনি।