নয়াদিল্লি: আফগানিস্তানের ক্রিকেটের উন্নতি হচ্ছে। আগামী ২-৩ বছরের মধ্যেই টেস্ট খেলার উপযুক্ত হয়ে উঠবেন যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশের ক্রিকেটাররা। এমনই মনে করছেন আফগানিস্তানের কোচ লালচাঁদ রাজপুত। ২০০৭ সালে প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া ভারতীয় দলের ম্যানেজার বলেছেন, ‘এবারের আইপিএল-এ স্পিনার রশিদ খান ও অলরাউন্ডার মহম্মদ নবির সুযোগ পাওয়া শুধু তাঁদের কাছেই নয়, গোটা আফগানিস্তানের কাছেই বিশাল ব্যাপার। এতে ওদের সহ-খেলোয়াড়রাও অনুপ্রাণিত হচ্ছে।’


রশিদ ও নবির প্রশংসা করে রাজপুত বলেছেন, তাঁরা দু জনেই বিশ্বমানের ক্রিকেটার। বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকাদের সঙ্গে একই ড্রেসিংরুমে থাকার সুযোগ পাবেন তাঁরা। ভবিষ্যতে আইপিএল-এ আফগান ক্রিকেটারের সংখ্যা বাড়বে বলে আশাবাদী রাজপুত। তাঁর মতে, টেস্ট ক্রিকেট খেলাই আফগানিস্তানের লক্ষ্য হওয়া উচিত। ক্রিকেটারদের পাশাপাশি আইসিসি-র উপরেও আফগানিস্তানের টেস্ট খেলার বিষয়টি নির্ভর করছে।

২০১০ সালে প্রথমবার টি-২০ বিশ্বকাপে খেলেছিল আফগানিস্তান। ২০১৫ সালে একদিনের বিশ্বকাপেও খেলেছেন রশিদ, নবিরা। গত বছরের জুন থেকে আফগানিস্তানের কোচ রাজপুত। তাঁর দাবি, আফগান ব্যাটসম্যানরা এখন আর উইকেট ছুঁড়ে দেন না। তাঁদের ফিটনেসেরও উন্নতি হয়েছে। আফগান ক্রিকেটের উন্নতি হচ্ছে।