নয়াদিল্লি: দুদিন আগে ২০১১-র বিশ্বকাপ ফাইনালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তুলে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক অর্জুন রণতুঙ্গা। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে, ওই ফাইনালে ভারতের কাছে শ্রীলঙ্কার ৬ বছর বাদে কেন এমন অভিযোগ করলেন তিনি। ফাইনালে যদি ফিক্সিং হয়েই থাকে বলে তাঁর মনে হয়েছিল তাহলে কেন তখনই তদন্তের দাবি জানাননি তিনি?
এর উত্তর রয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটারদের ঝগড়ার মধ্যে। আসলে এই ঘটনায় শ্রীলঙ্কার দুই প্রাক্তন অধিনায়কের ঝগড়াই প্রকাশ্যে এসেছে।

আসলে জিম্বাবোয়ের কাছে একদিনের সিরিজে হারের পর শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পর্ব শুরু হয়েছে। শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক কুমার সঙ্গাকারার ২০০৯-এ পাকিস্তান সিরিজ নিয়ে  মন্তব্যের পরই রণতুঙ্গা ২০১১-র বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন। উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কা দলের ২০০৯-এর পাক সফরে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটে। সঙ্গাকারা বলেছিলেন, ওই সফর কার কথায় হয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত।
২০১১-র বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা দলের অধিনায়ক ছিলেন সঙ্গাকারা। তিনি বলেছিলেন, পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো না হওয়া সত্ত্বেও কেন সেখানে দল পাঠানো হয়েছিল। এরপরই রণতুঙ্গা বলেন, পাক সফর নিয়ে সঙ্গাকারা যদি তদন্ত চান, তাহলে তা করা উচিত। একইসঙ্গে ২০১১-র বিশ্বকাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কা দলের হার নিয়েও তদন্ত করা উচিত বলে মন্তব্য করেন রণতুঙ্গা।
রণতুঙ্গা বলেন, ওই ম্যাচে তিনি ধারাভাষ্য করছিলেন। তাঁর কথায়,  ‘দলের হারে দুঃখ পেয়েছিলাম। সেই সঙ্গে সন্দেহও হয়েছিল। ২০১১-র বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা কেন হারল, সে বিষয়ে আমাদের তদন্ত করে দেখা উচিত। সমস্ত রহস্যোদ্ঘাটন আমি এখনই করতে পারব না। তবে একদিন সমস্ত কথা জানাব। এর অবশ্যই তদন্ত হওয়া উচিত’।
কারুর নাম না করে রণতুঙ্গা বলেন, খেলোয়াড়দের কোনও কিছু লুকানো উচিত নয়।

২০১১-র বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কা প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৭৪ রান করেছিল। রান তাড়া করতে নেমে ভারত শুরুতেই বীরেন্দ্র সহবাগ ও সচিন তেন্ডুলকরের উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে যায়। পরে গৌতম গম্ভীর (৯৭) এবং অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (অপরাজিত ৯১) ইনিংসের হাল ধরেন। এই সময় শ্রীলঙ্কার বোলিং ও ফিল্ডিং আশানপরূপ হয়নি। ওই সময় শ্রীলঙ্কার সংবাদমাধ্যমগুলিতে হার নিয়ে সন্দেহ ব্যক্ত করেছিল। কিন্তু রণতুঙ্গার আগে কেউ তদন্তের দাবি তোলেনি।