নয়াদিল্লি: গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছেন, সারা দেশে ২১ দিন লকডাউন জারি থাকবে। ফলে ১৪ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউই বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবেন না। এই পরিস্থিতিতে এবারের আইপিএল আদৌ হবে কি না, সেটা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কারণ, ১৫ এপ্রিলের পর আইপিএল-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটা সম্ভব হবে কি না, সে বিষয়ে সংশয়ে বিসিসিআই কর্তা ও ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা।


এ বিষয়ে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক বলেছেন, ‘আমরা এখন আইপিএল নিয়ে কিছু ভাবছিই না। এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাবে না। তবে এ বছরের আইপিএল হওয়া কঠিন। কারণ, ১৪ এপ্রিলের পর যদি লকডাউন উঠে যায় এবং বিদেশি ক্রিকেটারদের ভিসা মঞ্জুরও করা হয়, তাহলেও খেলা আয়োজনের জন্য স্টেডিয়ামগুলি তৈরি করতে ১২ থেকে ১৪ দিন সময় লাগবে। এখন দেশের সব স্টেডিয়ামই বন্ধ। সব রাজ্য সংস্থা এবং বিসিসআই-এর কর্তারাও বাড়িতে বসেই কাজ করছেন। ফলে আইপিএল আয়োজন নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।’

দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘এ মাসের মাঝামাঝি সময়েই আইপিএল-এর প্রস্তুতি সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শুধু ভিআইপি বক্স তৈরির কাজ চলছিল। সেটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত আইপিএল সংক্রান্ত কোনও কাজ করতে হবে না। এখন লকডাউনে তো সব কাজই বন্ধ। এরপর কী হবে বলতে পারছি না। কয়েকদিন আগে দিল্লি ক্যাপিটালসের কর্তারা মাঠ দেখতে এসেছিলেন। তাঁরাও এবার আইপিএল হওয়া নিয়ে খুব একটা আশাবাদী নন। পিচ তৈরি করতে অন্তত দু’সপ্তাহ লাগে। ফলে এপ্রিলের শেষদিকের আগে কিছু হবে না।’

করোনা ভাইরাসের ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে খেলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। টোকিও অলিম্পিক গেমসও এক বছর পিছিয়ে গিয়েছে। এবার আইপিএল-ও যদি না হয়, তাহলে বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে বিসিসিআই।