ইন্দৌর: ৮ ম্যাচ। ১২ ইনিংস। রান ৮৫৮। ইতিমধ্যেই ঝুলিতে এসে গিয়েছে ৩টি শতরান। এর মধ্য দুটি আবার দ্বিশতরান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট কেরিয়ারের প্রথম দ্বিশতরান পেয়েছিলেন ময়াঙ্ক অগ্রবাল। আজ ইন্দৌরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুশো টপকে প্রথম তিনশত রান করার সুযোগ ছিল তাঁর হাতে। তবে ২৪৩ রানেই থামলেন এই ভারতীয় ওপেনার।


গতকালের পর শুক্রবার সকাল থেকেই ২২ গজে  আঠার মতো চিপকে গিয়েছিলেন ময়াঙ্ক। বড় বড় ওভার বাউন্ডারির সঙ্গেই গ্রাউন্ডে শট খেলে রান করেছেন তিনি। অফ, লেগ, কভার, মিড অন, মিড অফ, চারিদিকেই শট খেলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। শুক্রবার চেতেশ্বর পূজারাকে নিয়ে ১৬৮ রানের যুগলবন্দি, তারপর শতরান। ময়াঙ্কের শতরানের পরই প্যাভিলিয়ন থেকে বিরাট কোহলি তাঁকে ইশারা করে দেখিয়ে দেন, স্কোর এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। শতরান পরিণত করতে হবে দ্বিশতরানে। অধিনায়কের দিকে ‘থাম্বস আপ’ দেখিয়ে ময়াঙ্ক ব্যাটিং চালিয়ে যান। চা-বিরতির পর পরই দ্বিশতরান করে ফেলেন তিনি। সেটাও আবার বীরেন্দ্র সহবাগের ভঙ্গিতে। বাংলাদেশি স্পিনার মেহেদি হাসানকে ছক্কা হাঁকিয়ে আন্তর্জাতিক টেস্ট কেরিয়ারের দ্বিতীয় দ্বিশতরান অর্জন করে নেন তিনি। এরপর আবার একই ভঙ্গিতে বিরাট বার্তা দেন, আরও একটা শতরান চাই। ডাবল থেকে ট্রিপলে পৌঁছতে হবে। একই ভঙ্গিতে ‘থাম্বস আপ’ দেখিয়ে আবার খেলতে শুরু করেন ময়াঙ্ক। তিনি যেভাবে ব্যাট চালাতে শুরু করেছিলেন, মনে হচ্ছিল দ্বিতীয় দিনেই তিনশো পেরিয়ে যাবেন। তবে সেটা হয়নি। ডিপ মিড উইকেটে আবু জায়েদের তালুবন্দি হলেন তিনি। ময়াঙ্কের উইকেট তুলে নেন মেহেদি।





উল্লেখ্য, এদিন ময়াঙ্ক তাঁর ধারাবাহিকতা দেখালেও বিফল হয়েছেন ক্যাপ্টেন কোহলি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রামের পর টেস্টে ফিরে এসেছিলেন। তবে ব্যাট হাতে ২ বলের বেশি দাঁড়াতেই পারেননি তিনি। আবু জায়েদের বলে লেগ বিফোর দ্য উইকেট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন বিরাট।